তিন জেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিভিন্ন সময়ে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
ভোলা : চরফ্যাশনে শশীভূষণে বজ্রপাতে আব্দুর রব (৬০) নামে এক রিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকালে উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আব্দুর রব ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এছাড়া আব্দুল্লাহপুর খাল থেকে ভাসমান এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বজনরা জানান, আব্দুর রব দুপুরে তার পাশের বাড়ির এক ব্যক্তিকে দাওয়াত করে। সে আসতে দেরি করায় আব্দুর রব তাকে নিয়ে আসার জন্য তার বাড়িতে যায়। এ সময় বৃষ্টিসহ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা রাস্তা থেকে আব্দুর রবের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
রাজবাড়ী : বালিয়াকান্দি উপজেলায় বজ্রপাতে কামাল শেখ (২৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বাধুলী খালকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত কামাল শেখ ওই গ্রামের সাইদ শেখের ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মুকুল সিকদার জানান, সকালে কামাল শেখ তার বাবা সাইদ শেখ ও ভাগিনা রাজুকে নিয়ে বাড়ির পাশে মরিচ খেতে কাজ করতে যান। এসময় হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে তারা দৌড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই কামালের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাজু অজ্ঞান হয়ে পড়লেও পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
কিশোরগঞ্জ : পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে আবু তাহের মিয়া (৪৮) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই কৃষক। গতকাল উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মইষাকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু তাহের মিয়া মইষাকান্দা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। পাকুন্দিয়া থানার ওসি সাখাওয়াৎ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবু তাহের মিয়াসহ তিনজন কৃষক বাড়ির পাশে কৃষিজমিতে কাজ করতে যান। সকাল ৭টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে জমিতে সেচ দেয়ার মেশিনের টিনের ঘরে অবস্থান নেন তারা। এ সময় বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাহের মিয়ার। বাকি দুজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।