আগামী ১ মে শ্রমিক দিবসে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সমাবেশ উপলক্ষে এরইমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। আশা করছি বিশাল জনসভা হবে। গতকাল মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে এ কথা বলেন তিনি। যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের যুগ্ম মহাসচিবগণ, ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এতে অংশ নেন।
সরকারি ছুটির দিনে সমাবেশ হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ কম হবে বলে আশা করেন নজরুল ইসলাম। ১ মে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইচ্ছা ছিল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) থাকতে অনুরোধ করব। কিন্তু ওনার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। এজন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অনুরোধ করেছি। আশা করছি, তিনি ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানান নজরুল ইসলাম খান। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো বিএনপি সমর্থন করে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে শ্রম সংস্কার কমিশন শুধু শ্রমিকদের দিয়ে নয়, এই কমিশনের সদস্য হিসেবে সরকার পক্ষের লোক আছে, মালিক পক্ষের লোক আছে এবং স্বাধীন ব্যক্তিও আছেন। কাজেই তারা সবাই মিলে যে সুপারিশ করেছে শ্রমিকদের সব আকাঙ্ক্ষা হয়তো পূরণ করা যায়নি, কিন্তু যতটুকু করা হয়েছে সেটাকে আমরা সমর্থন করি। বিএনপির এই শ্রমিক নেতা বলেন, এ দেশের শ্রমজীবী মানুষরা ভালো নেই। আগেও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ন্যূনতম মজুরি আদায় করতে পারিনি। মে দিবসের মূল দাবি ছিল, দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ। এই দাবি আদায়ের লড়াই ছিল মে দিবসের লড়াই। কিন্তু বিজয় লাভের পরও সব শ্রমিক ৮ ঘণ্টা কাজের অধিকার পেয়েছে এটা বলা যাবে না। আমাদের দেশে শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করানো হয়। সেটা অনেক ক্ষেত্রে বিনা বেতনে হয় বলেও দাবি করেন নজরুল ইসলাম।