কৃষিতে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে

বললেন কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, ধানের চাষ করতে গিয়ে সরিষা, কলাই প্রভৃতি চাষে কৃষকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। অথচ বছরে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়। যার পেছনে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। ধানের উৎপাদন না কমিয়ে যদি আরেকটা বাড়তি ফসল, সেটি সরিষা, আলু, কলাই করা যায়, তাহলে দেশের কৃষি বিরাট উপকৃত হবে এবং কৃষক লাভবান হবে। আমনে বিনা-১৬ জাতের ধান চাষ করলে বোরো ধান চাষের আগে আরেকটি ফসল করা সম্ভব। বিশেষ করে বিনা উদ্ভাবিত সরিষা। এতে একদিকে ধানের ফলন কমবে না, অন্যদিকে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

কৃষিমন্ত্রী বুধবার ভার্চুয়ালি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবসে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। উচ্চফলনশীল ‘বিনা-৯’ জাতের সরিষার মাঠ প্রদর্শনী উপলক্ষে পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিতে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষির উন্নতি না হলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে না। সেজন্য কৃষিবান্ধব সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। স্বল্পসুদে কৃষকদের কৃষিঋণ প্রদান করছে, সার, সেচসহ সব কৃষি উপকরণের দাম কমিয়েছে এবং কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করেছে। কৃষকের যাতে কোনো কষ্ট না হয়, সেজন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। অথচ বিএনপির শাসনামলে কৃষি উপকরণের জন্য কৃষকদের হাহাকার করতে হয়েছিল। সারের জন্য আন্দোলন করতে হয়েছিল। বিএনপি সারের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮ কৃষককে হত্যা করেছিল।

বিনার তথ্যমতে, বিনা সরিষা-৯ এর হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ১.৮ টন। জীবনকাল ৮৭ দিন। যেসব এলাকায় আমন ও বোরোর মাঝের সময়টুকু জমি পতিত থাকে, সেসব এলাকায় আমনে বিনাধান-১৬ বা বিনাধান-১৭ চাষ করে বিনা সরিষা-৯ চাষ করা যাবে এবং এ জাতের সরিষা তোলার পর বোরো ধান চাষ করা যাবে। ফলে ধানের চাষ ব্যাহত হবে না। এবার ধনবাড়ীতে ৪৬০ বিঘা জমিতে বিনা-৯ সরিষার চাষ হয়েছে প্রদর্শনীর মাধ্যমে। এর সঙ্গে মৌচাষও করা হয়েছে। ফুল আসার পর মৌবক্স স্থাপন করে আটটি বক্স থেকে ১২ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিনার ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য মীর ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, পিএসও ড. মো. শহীদুল ইসলাম, আছিয়া আহসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বেলাল প্রমুখ বক্তব্য দেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি