মাঠে-ঘাটে, ক্ষেতে-বিলে যেখানে সেখানে বিনা যত্নে কচুশাক হয়। অথচ এই কচু শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে কচুশাক খুবই জনপ্রিয়। কচুশাক নানাভাবে খাওয়া হয়। তবে কচুপাতা ভর্তা ও তরকারি বেশি জনপ্রিয়। অনেকে আবার ইলিশ, চিংড়ি, ছোট মাছ বা শুটকি মাছ দিয়ে কচুশাক খেতে পছন্দ করেন। কচুশাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় :
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় : কচু ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাবে হওয়া যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে কচুশাক জাদুর মতো কাজ করে। কচু রাতকানা, চোখে ছানি পড়ার মতো বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি কমায়। দৃষ্টিশক্তিও বাড়ায়। হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি মেটায় : শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে গেলে চিকিৎসকরা কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ কচু আয়রনের ভালো উৎস। তাই কচু খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়।
মুখ ও ত্বকের রোগ নিরাময় : কচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। ভিটামিন এ-এর পাশাপাশি ভিটামিন বি ও ভিটামিন সিও আছে। মুখ ও ত্বকের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে এই ভিটামিনগুলো খুব দরকারি।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় : কচুশাক খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলেই হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এ ছাড়াও কচুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পটাশিয়াম। পটাশিয়ামও হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। হজমের সমস্যা দূর করে : কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সাধারণত হজমের সমস্যা থেকেই দেখা যায়। কচুশাকে আছে ফাইবার, যা খাবারকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বজায় রাখে : কচুশাকে উপস্থিত আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে শরীরে অক্সিজেনের সংবহন পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। এছাড়াও কচুতে থাকা ভিটামিন কে-ও রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় : কচুতে থাকা একাধিক ভিটামিন ও খনিজ শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এমনকি নিয়মিত কচুশাক খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। সূত্র : ওয়েব সাইট