শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করলে দেশের উন্নয়নের গতি মসৃণ হবে। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণায় প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় করে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সরকারও তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল গ্রহণ করে নীতিনির্ধারণী কার্যক্রমে ব্যবহার করতে পারে। নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আয়োজনে ‘ব্যবসা ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক বিজ্ঞান : মহামারি পরবর্তী যুগে চ্যালেঞ্জ এবং এগিয়ে যাওয়ার উপায়’ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আশকোনায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে জাতির পিতার অজেয় স্বপ্ন। গত এক দশকে দেশে অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার সুফল দেশবাসী পাচ্ছেন। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি- যা গত ২৫ জুন গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা আরেকটি মাইলফলক অর্জন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন। আমরাও সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তার সঙ্গে ছিলাম। এছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার মতো স্থাপনার সুফল অচিরেই মানুষ ভোগ করবে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে আমাদের জিডিপি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে। আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করায় নর্দান ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও এ বিষয়ে এগিয়ে আসলে দেশের উন্নয়ন লক্ষ্য ত্বরান্বিত হবে। কোভিড-১৯ এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে আমরা সবাই ওয়াকিবহাল। এটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। আশা করি, এই সম্মেলনে উত্তরণের উপায় ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে সাতটি দেশ ভারত, মালয়েশিয়া, জার্মান, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের ৯৩ জনের বেশি গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং কর্পোরেট বিশেষজ্ঞ অংশ নেবেন। বিভিন্ন সমকালীন বিষয়ে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।