মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, উপমহাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মণি সিংহের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মণি সিংহের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, জাতি গঠনে কমরেড মণি সিংহের মতো সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিকের অবদান যুগে যুগে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, কমরেড মণি সিংহ উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন, স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামসহ সারাজীবন শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। কমরেড মণি সিংহ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীদের সংগঠিত করে গেরিলাবাহিনী গঠন করে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। আবদুল হামিদ বলেন, কমরেড মণি সিংহ তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ত্যাগ ও সততার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। এ বিপ্লবী নেতা যুগ যুগ ধরে তরুণ প্রজন্মের জন্য আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কমরেড মণি সিংহের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বিপ্লবী জননেতা কমরেড মণি সিংহের জীবন ও কর্ম আমাদের সবসময় অনুপ্রেরণা জোগাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপ্লবী ও প্রগতিশীল গণআন্দোলনের শ্রদ্ধেয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কমরেড মণি সিংহ উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামসহ সারাজীবন কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল ন্যায়সংগত আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে কমরেড মণি সিংহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।