ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফিরে দেখা ২০২২

বছরজুড়ে নিয়ন্ত্রিত জঙ্গি কার্যক্রম বছর শেষে আলোচনায় সরগরম

বছরজুড়ে নিয়ন্ত্রিত জঙ্গি কার্যক্রম বছর শেষে আলোচনায় সরগরম

শেষ হওয়া ২০২২ বছরটিতে দেশে ঘটেছে নানা ঘটনা। জন্ম দিয়েছে আলোচনা-সমালোচনার। এরমধ্যে সারা বছর জঙ্গিদের কর্মকাণ্ড দৃশ্যত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বছরের শেষে আলোচনার শীর্ষে ফিরে জঙ্গি ইস্যু। সব চেয়ে বেশি আলোচনায় আসে ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গিদের দুই সহযোগীকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা। পাশাপাশি বছর শেষে জঙ্গিবাদে সহযোগিতার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির এবং জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আমিরের ছেলেকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। অপরদিকে ‘জামা’তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে তথাকথিত নতুন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব এবং পার্বত্যাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীন বাহিনীর সঙ্গে তাদের অদ্ভুত কানেকশন ও সমঝোতা করে দুর্গম এলাকায় সশস্ত্র ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপনের খবরও দেশজুড়ে বেশ চাঞ্চল্যকর আলোচনার সৃষ্টি করে।

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাই : বিশেষ করে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকার পরও কীভাবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই দুর্ধর্ষ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়া হলো তা ছিল সবার মুখে মুখে। নানামুখী সমালোচনার জন্ম দিয়েছে এটি। অবশ্য ২০১৪ সালেও জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল, ময়মনসিংহের ত্রিশালে। এরপর বিভিন্ন সময় ছিনতাইয়ের পরিকল্পনাও করেছিল জঙ্গিরা। যদিও এরপর সফল হতে পারেনি। কিন্তু খোদ রাজধানীর মতো জায়গায় তাও আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা এবং দীর্ঘ দেড় মাসেও তাদের হদিস না পাওয়ায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশব্যাপী। ডা-াবেড়ি ছাড়া দুর্ধর্ষ এসব জঙ্গিকে কীভাবে আদালতে নেয়া হলো, সেটা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। গত ২০ নভেম্বর আবার প্রায় দীর্ঘ ৯ বছর পর সহযোগী ছিনতাইয়ে সফল হলো জঙ্গিরা। ঘটনার দিন রুটিন অনুযায়ী নিয়ম মতোই পুরান ঢাকার আদালতে হাজির করা হয় দুই জঙ্গিকে। তারা হলো- ব্লগার হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ও মাইনুল হাসান শামীম।

সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেয়ার পথে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গেটের সামনে দায়িত্বরত পুলিশের চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। তাৎক্ষণিক সারা দেশের আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। শুধু তাই নয়, জঙ্গি ধরতে তল্লাশি বসানো হয় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে। রাজধানীসহ দেশের সীমান্ত এলাকায় জারি করা হয় রেড অ্যালার্ট। জঙ্গি ধরতে চালানো হয় অভিযান।

এ ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সদস্য মেহেদী হাসান অমিকে ২৪ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন (সিটিটিসি) বিভাগ। ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গি ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন ও ব্লগার অভিজিত রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ওই দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ১০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ইউনিট মাঠে নামে। গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোসহ সাইবার ইউনিটগুলোও তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে কাজ করছে।

যেভাবে ছিনতাই করা হয় দুই জঙ্গিকে : ট্রাইব্যুনাল থেকে আট জঙ্গিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তারা যখন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের প্রধান ফটকের সামনে আসেন, তখন হাতকড়া পরা দুই জঙ্গি তাদের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশের এক সদস্যকে মারধর শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে আশপাশে থাকা জঙ্গিদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলায় যোগ দেয়। এ সময় পুলিশের ওই সদস্যকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন আরও কয়েকজন পুলিশ। তাদের ওপর হামলা এবং স্প্রে ছিটিয়ে সিজেএম আদালতের প্রধান ফটকের উল্টো দিকের গলি দিয়ে মোটরসাইকেলে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেয় সহযোগীরা। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে ফিল্মি স্টাইলে প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ও বোমা ফাটিয়ে নিষিদ্ধ জেএমবির তিন শীর্ষ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয় তাদের অনুসারীরা। তিন জঙ্গি হলো- নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একাংশের নেতা সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন ওরফে সানি এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ ও জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান।

পরে ওইদিন সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে ও ক্রসফায়ারে নিহত হয় রাকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ। এ ঘটনায় আতিকুর রহমান নামে পুলিশের একজন কনস্টেবল নিহত হন। আহত হন আরও কয়েকজন। কিন্তু ঢাকায় ছিনতাই জঙ্গিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি এমনকি ছিনতাই হওয়া জঙ্গিরা কোথায়? এমন প্রশ্নের কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর এখনো দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আতঙ্ক তৈরি করে নতুন জঙ্গি সংগঠন : এদিকে বছরের শেষ দিকে এসে তথাকথিত নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামা’তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। কুমিল্লা থেকে বেশ কয়েকজন তরুণ উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়। এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব। ঘর ছেড়ে উগ্রবাদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল চার তরুণকে উদ্ধার করে ডি-র‌্যাডিক্যালাইজডের পর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়।

কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ এক তরুণ নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর গত ৬ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুমিল্লাসহ অন্যান্য অঞ্চল থেকে নিখোঁজ চারজন তরুণ ও উগ্রবাদী সংগঠনের দাওয়াতি, তত্ত্বাবধান, প্রশিক্ষণ, আশ্রয় দেয়া ও অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১০ অক্টোবর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উগ্রবাদী সংগঠনটির দাওয়াতি এবং অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী হাবিবুল্লাহ ও নিরুদ্দেশ তিন তরুণসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

বিভিন্ন সময়ে নিখোঁজ তরুণদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বান্দরবান ও রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে প্রেরণের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে গ্রেপ্তার জঙ্গিরা। পরে গত ২১ অক্টোবর রাঙামাটি ও বান্দরবানের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নতুন জঙ্গি সংগঠন জামা’তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শূরা সদস্য সৈয়দ মারুফ আহমদ ওরফে মানিকসহ সাতজন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিনজনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এছাড়া গত ৩ নভেম্বর রাতে কুমিল্লার লাকসাম এলাকা থেকে সংগঠনটির অর্থবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মুনতাছির আহম্মেদ বাচ্চু, হিজরতকৃত সদস্যদের সার্বিক সমন্বয় সুজন, ইসমাইল হোসেন হানজালা এবং সামরিক শাখার তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি হেলাল আহমেদ জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৯ নভেম্বর সংগঠনটির অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী ২ সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সর্বশেষ গত ৪ ডিসেম্বর রাতে র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১১ এর অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও রাজধানীর গুলিস্তান এলাকা হতে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামা’তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার গোলাম সারোয়ার, সাকিব মাহমুদ, ফরহাদ হোসেন, মুরাদ হোসেন ও ওয়াসিকুর রহমান নাঈম নামে পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার হয়।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা জানায়, তারা জামা’তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দাওয়াতি, হিজরতকৃত সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও তত্ত্বাবধান, পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহসহ অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিল।

অন্যদিকে গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকা থেকে উগ্রবাদী নব্য জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি ইউনিটের সিটি ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আব্দুল্লাহ, মো. তাজুল ইসলাম, মো. জিয়াউদ্দিন, মো. হাবিবুবুল্লাহ ও মো. মাহামুদুল হাসান।

সিটিটিসি জানায়, কুমিল্লা থেকে সাতজন তরুণ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে ডিএমপির সিটিটিসি ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা থেকে হিজরতের উদ্দেশ্যে বের হওয়া আবরারুল হককে শনাক্ত করে রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। আবরারুল হকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশব্যাপী নিখোঁজের চাঞ্চল্যকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংগঠনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালীর বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। পরে রামপুরার হাজীপাড়া এলাকা থেকে ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ডাক্তার শাকির বিন ওয়ালী জানান, তিনি সংগঠনের জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে জঙ্গি সংগঠনের দাওয়াতি বিভাগের প্রধান।

জঙ্গি কানেকশনে গ্রেপ্তার জামায়াতের কেন্দ্র্রীয় আমির ও আমিরের ছেলে : অপরদিকে জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এর আগে গত ৯ নভেম্বর জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের ছেলে ডা. সাদিক সাইফুল্লাহ ওরফে রাফাতকে তার এক সহযোগীসহ সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডা. রাফাত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন বলে অভিযোগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডা. রাফাত ইতোপূর্বে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিলেন। তার চেষ্টায় বহু লোক এ সংগঠনে যোগ দেয়। পরে ডা. রাফাত নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াতে দলবলসহ যোগদান করেন। তার নেতৃত্বেই প্রথম ১১ জন বান্দরবানের কুকি চীন ক্যাম্পে হিজরত করে। ডা. রাফাতের সামগ্রিক কার্যক্রমে জামাতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল বলে দাবি সিটিটিসির। র‌্যাব জানিয়েছে, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার তথাকথিত হিজরতের ডাকে ঘরছাড়া অর্ধশতাধিক তরুণের খোঁজ এখনো মেলেনি। এ অবস্থায় যে কোনো সময় নাশকতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

আলোচনায় সশস্ত্র কুকি-চিন বাহিনী : তথাকথিত নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে পার্বত্যাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি-চীন বাহিনীর অদ্ভুত সমঝোতার খবর দেয় র‌্যাব। ধর্ম ও জাতিগতভাবে যোজন যোজন দূরত্বের সংগঠন দুটি পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সশস্ত্র ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা আলোচনায় উঠে আসে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনটি। পরে র‌্যার ও সেনা অভিযানে ট্রেনিং ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেয়া হলেও এখনো আলেচনায় আছে বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি-চীন বাহিনী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত