সুসংবাদ প্রতিদিন
পেঁয়াজ চাষে কৃষকের সফলতা
প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফলতার দেখা পেয়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৩৬০ জন কৃষক। তারা পেঁয়াজের গ্রীষ্মকালীন জাত চাষে সাফল্য পেয়েছেন। এতে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে চাষিরা। পেঁয়াজ চাষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে লাখ টাকা আয় করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্যান্য কৃষকরাও এখন ছুটছেন নতুন এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বেশির ভাগ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। বিদেশ থেকে আমদানির পরও পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকায় কৃষি বিভাগ এখন দেশে গ্রীষ্মকালেও এ পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৬ ইউনিয়নে ৫০ হেক্টর জমিতে ৩৬০ জন কৃষক নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে। একই সাথে এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করার জন্য প্রতি কৃষককে বীজ, সার, পলিথিন ও পরিচর্যা বাবদ ২ হাজার ৮০০ টাকা করে খরচ প্রদান করা হয়। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা এখন ছুটছে এই নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষে। বর্তমানে এ জাতের পেঁয়াজ চাষের সফলতার কথা উঠে এসেছে চাষিদের নিকট থেকেও।
খামারপাড়া ইউনিয়নের ভান্ডারদহ গ্রামের কৃষক নুরল ইসলাম জানান, তিনি ৩৩ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ চাষ করেছেন। ৯০ থেকে ১১০ দিনে মধ্যে এ পেঁয়াজ বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। বাজারে এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজের মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন এ নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ. ম. জাহিদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজগুলো অনেক বড় আকৃতির। ৪ থেকে ৫টি পেঁয়াজের ওজন এক কেজি। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আগামী বছর এর চাষ আরো বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় এই জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করেছিল। যার ফলে কৃষকরা এ পেঁয়াজ চাষে সফলতা অর্জন করেছে। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে এবং দেশে পেঁয়াজ সংকট কমে যাবে।