বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত মাসে এ দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১০৬ কোটি ৯২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী, মাদকদ্রব্য এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৭০৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬ কেজি ৩৭০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৪ হাজার ৩২৬ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশি মদ ২ হাজার ৭২৯ ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ৬৯৬ কেজি গাঁজা, ১৪ কেজি হেরোইন, ২২ হাজার ৭৬২টি ইনজেকশন, ৬ হাজার ৮৯২টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৪৩৪ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৭ হাজার ৭৭০টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৫৫টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ এবং ২ লাখ ০৯ হাজার ৯২৭টি অন্যান্য ট্যাবলেট। জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ০৭ কেজি ০৬৩ গ্রাম স্বর্ণ, ১৭ কেজি ৩০০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৩টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৬ হাজার ৫৩৮টি ইমিটেশন গহনা, ১২ হাজার ৯৮৭টি শাড়ি, ৩ হাজার ৫৫টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২ হাজার ৩৫৯টি তৈরি পোশাক, ২ হাজার ৩৪০ ঘনফুট কাঠ, ৫ হাজার ৫৩ কেজি চা পাতা, ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১০ কেজি কয়লা, ৬ হাজার ১০ ঘনফুট পাথর, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৯৮ কেজি কচ্ছপের হাড়, ৪১৯ কেজি কারেন্ট জাল, ১ হাজার ৩১৩ কেজি কীটনাশক, ৮টি ট্রাক, ৯টি পিকআপ, ২৪টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৫৫টি মোটরসাইকেল। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি পিস্তল, ১টি বন্দুক, ৬টি গান, ৬টি ককটেল, ১টি আর্টিলারি গোলা, ৫ হাজার ১৪ রাউন্ড গুলি এবং ২৯৫ কেজি ৬৫০ গ্রাম বিস্ফোরক সদৃশ বস্তু। এছাড়া সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫৫ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩৮জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৩জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।