মেট্রোরেলে সাধারণ যাত্রী বহন শুরুর চতুর্থ দিন গতকাল ছিল ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন। তাই স্বপ্নের এই গণপরিবহনে চড়তে অনেক দূর থেকেও আসতে থাকেন উৎসাহী মানুষ। যাত্রীরা বলছেন, তারা মেট্রোরেলের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন। অনেকেই পরিবার-পরিজনের সদস্যদের নিয়েও মেট্রোরেলে আনন্দ ভ্রমণ করেন। স্বপ্নের মেট্রোরেল দেখতে ও চড়ে অনুভূতি নেয়ার জন্য ঢাকার বাইরে থেকেও লোক আসছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিকিটের লাইনে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককে।। তারপরও শেষ পর্যন্ত চড়তে পারাটাই ছিল তাদের জন্য আনন্দের।
যাত্রীদের মধ্যে অনেকের অভিমত মেট্রোরেলে চলার সময় ৮টা থেকে ১২টা অফিসগামীদের জন্য অনুকূল নয়। তা ছাড়া এখনো সব স্টেশন থেকে উঠতে পারছেন না যাত্রীরা।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, মানুষের উৎসাহ কমে গেলে ও অভ্যস্ত হয়ে উঠলে মেট্রোরেলের চলার সময় বাড়ানো হবে। আর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বর্তমানে মেট্রোরেল সপ্তাহে একদিন মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হচ্ছে। পুরোদমে চালু হলে সেটাও রাখা হবে না। এখন উৎসাহী যাত্রীদের সংখ্যাই বেশি উল্লেখ করে এমএএন ছিদ্দিক বলেন, ‘যারা এই লাইনে নিয়মিত যাতায়াত করবেন, তাদের সংখ্যাটা কম। আমাদের যে টিকিট বিক্রি হয়, তার ৯৫ ভাগ উৎসাহী জনগণ। আমরা আগে উৎসাহী জনগণকে সামাল দিয়ে নেই তারপর সব ঠিক করব।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘আগামী ২৬ মার্চ থেকে মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশনের মাঝে বাকি সাত স্টেশনেও থামবে।’