ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আপেলের চেয়ে খোসায় উপকারি

আপেলের চেয়ে খোসায় উপকারি

স্বাস্থ্যে দারুণ উপকারী আপেল। তবে অনেকে খোসা ছড়িয়ে এ ফল খান। কিন্তু আপনি জানেন কি, খোসাও পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা দেহের মসৃণ ক্রিয়ায় সহায়তা করে। আপেলের খোসায় রাসায়নিক থাকতে পারে। এ ভেবে তা খেতে কেউ ভয় পেতে পারেন। তবে এর সমাধানও আছে। কিন্তু মাথায় রাখবেন, এটি ফেলে দেয়া মানে সর্বাধিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়া।

এবার কীভাবে আপেল খাবেন জেনে নিন : আজকাল বাজারে সহজলভ্য আপেলে কীটনাশক থাকে। তাই খোসা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এর সমাধান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, প্রথমে ফলটি ধুয়ে পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি দিয়ে ২ থেকে ৩ বার ধুয়ে ফেলুন। এতে রাসায়নিক চলে যাবে। মোমের প্রলেপ থাকলেও অপসারিত হবে। সর্বোপরি, আপেলের গুণগত মান বজায় থাকবে।

কেন খাবেন খোসা : আপেলের খোসায় দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে এবং কোলেস্টেরল কমায়। এটি শরীর আদ্র্র রাখে। অন্ত্রে থাকা বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে এ ফাইবার।

ভিটামিনে পরিপূর্ণ : বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিটি আপেলের খোসায় ৮ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি এবং ৯৮ আইইউ ভিটামিন এ থাকে। ফলে জ্বর-ঠাণ্ডা-সর্দি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। পাশাপাশি চোখের সুরক্ষা দেয়।

ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ : ২০০৭ সালে একটি সমীক্ষা করে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়। তাতে উঠে আসে, আপেলের খোসাতে ট্রাইটারপেনয়েড যৌগ থাকে, যা মানবদেহে ক্যান্সারের কোষ মেরে ফেলে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ওজন হ্রাস : স্বাস্থ্যবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ওজন কমাতে খোসাসহ আপেল খাওয়ার। এতে রয়েছে ওরসোলিক অ্যাসিড। প্রয়োজনীয় এ যৌগ স্থুলত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি পেশীর মেদ বাড়ায় এবং ক্যালরি পোড়ায়। ফলে স্থুলতার ঝুঁকি হ্রাস পায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত