বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেয়া সরকারের বড় সাফল্য

বললেন খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নওগাঁ প্রতিনিধি

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বছরের প্রথম দিন হাতে নতুন বই পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় উৎসাহিত হচ্ছে। এ সময় তিনি বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণকে শিক্ষা ক্ষেত্রে ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেন। গতকাল সোমবার সকালে নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী এ সময় সাপাহার ও নিয়ামতপুর উপজেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব উদ্বোধন করেন। মন্ত্রী বলেন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য আজ খুশির দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের এই খুশির উপলক্ষ্য তৈরি করে দিয়েছেন। একযোগে সব জায়গায় সব শিক্ষার্থীর কাছে বছরের প্রথম দিনেই বই পৌঁছে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। শিক্ষার অনেক কন্টেন্ট এখন ডিজিটাল। শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ায় স্মার্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু পোশাকে নয়, চিন্তা চেতনায় স্মার্ট হতে হবে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার বলে উল্লেখ করেন। শেখ হাসিনা যত দিন বেঁচে আছেন, তত দিন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক আর্থিক সংকটে অনেক দেশ বই ছাপাতে পারছে না। সেখানে দেশের সব শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেয়া সরকারের বড় সাফল্য। পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পোরশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, নিতপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াজেদ আলী মৃধা এবং পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন। উল্লেখ্য, পোরশা উপজেলায় ২০২৩ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৬৭ হাজার ৯৫৪ কপি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৭০ কপি বই বিতরণ করা হবে। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী মহাদেবপুর-সরাইগাছি-পোরশা সড়কের সরাইগাছি-নিতপুর অংশের প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়নকাজের ফলক উন্মোচন ও কাজের উদ্বোধন করেন। এ সড়কের নির্মাণ শেষ হলে পোরশার সঙ্গে নওগাঁ জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে।