ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অভিবাসী নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় উদ্বেগ

অভিবাসী নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের  ঘটনায় উদ্বেগ

গত রোববার ও সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রবাসে কিছু বাংলাদেশি অভিবাসীকে নির্যাতন এবং মুক্তিপণ আদায় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিশেষত ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় প্রেরণ এবং সেখানকার এক বা একাধিক চক্র কর্তৃক বন্দিদের নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায় ও হত্যার বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রকাশিত বিস্তারিত সংবাদ থেকে জানা যায়, চক্র ভুক্তভোগীদের নির্যাতন করে সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। নির্যাতনের ভিডিও দেশে পাঠিয়ে ৮-১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কমিশন মনে করে, মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের শিকার হন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়া এবং মুক্তিপণ আদায়ের সংবাদ দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রায়ই প্রকাশিত হয়। অভিবাসন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। মানবপাচারের শিকার হয়ে কিছু অভিবাসী খুন পর্যন্ত হচ্ছেন যা কোনোক্রমেই প্রত্যাশিত বা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকাশিত সংবাদ থেকে এটি অনুমান করা যায়, এ ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে দেশের এক বা একাধিক চক্র জড়িত। তারা অবৈধভাবে আর্থিক দিকে লাভবান শুধু হচ্ছে না একই সঙ্গে তারা কিছু মানুষকে অমানবিক নির্যাতন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক ও যথাযথভাবে এ সমস্যা মোকাবিলার উদ্দেশ্যে সত্য ঘটনা উন্মোচন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন খাতকে আরো উন্নত এবং নিরাপদ করার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে পত্র প্রেরণ করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত