জমে উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা : বাড়ছে দর্শনার্থী

ছুটির দিনের অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রিয়াজ হোসেন, রূপগঞ্জ

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে মেলার স্থায়ী ভেন্যু নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিউশন সেন্টারে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শুরু হয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২৭তম আসর। নতুন ভেন্যু ও রাজধানী থেকে দূরত্ব কিছুটা দূরে হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার লোকজন এখনো তেমন আসা শুরু করেনি। তবে আগামী শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকে মেলায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে দাবি করেছেন মেলা আয়োজক ও ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পহেলা জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পর্দা উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে মেলা উদ্বোধনের আগের দিন বিকাল থেকে উদ্বোধনের দিন বিকাল পর্যন্ত নির্দিষ্ট কয়েক দিন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছাড়া সব স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজকর্ম বন্ধ করে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের মেলা প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে দেয়ায় দোকান সাজানোসহ কোনো প্রকার কাজ করতে পারেনি স্টল মালিকরা। সেজন্য পণ্যসামগ্রী বেচাকেনায় প্রস্তুতি নিতে কিছুটা সময় লেগেছে তাদের। এখনো মেলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ স্টল ও প্যাভিলিয়ন অসম্পূর্ণ। সেগুলোর অধিকাংশই এখনো পণ্য বিক্রি ও প্রদর্শন শুরু করতে পারেনি। কিছু কিছু স্টলে এখনো চলছে প্রস্তুতির কাজ। সেগুলোর প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হতে আরও ২/৩ দিন সময় লাগবে।

শুরু হওয়ার প্রথম দিন সকাল থেকে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশা থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীদের সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তেমন দেখা যাচ্ছে না। তবে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোকসমাগম কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। মেলার প্রথম দিন লোকসমাগম তেমন না থাকলেও এখন আগের তুলনায় লোক সমাগম বাড়তে শুরু করেছে। লোক সমাগম কম থাকায় কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পায়নি ব্যবসায়ী ও আয়োজকরা। তবে, তাদের আশা আগামীকাল থেকে ক্রেতাণ্ডদর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে। পুরোদমে জমে উঠবে মেলা।

ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা জানান, মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা আশানুরূপ নয়। তাদের আশা, ছুটির দিন শুক্র থেকে মেলা জমে উঠবে। তাদের বেচাকেনাও বাড়বে। গত বছরের মেলা থেকে এ বছরের মেলা ভালো হবে। কারণ গত কয়েক বছর করোনা ও অন্যান্য কারণে মানুষ ঘুরতে বের হতে পারেননি। আরও নানা সমস্যা ছিল। এখন অবস্থা ভালো। এ এলাকার রাস্তা থেকে শুরু করে মেলার স্পট চমৎকার। এবার মেলা সফল হবে বলে আশা করছেন তারা। এ বছর গত বছরের থেকে বড় পরিসরে হচ্ছে এ মেলা। গত বছরের চেয়ে এ বছর মেলার পরিসর, আয়োজন ও সাজসজ্জায় বড় পরিবর্তন আসছে। গত বছর মেলায় স্টল ছিল ২২৫টি। এবার দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বসছে ৩৩১টি। ১০টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৭টি স্টল এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, বিগত বছরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে যতবার মেলা হয়েছে সেখানেও মেলা পুরোদমে জমেছিল শুরুর পর প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন থেকে। এখানে মাত্র শুরু হয়েছে। আশা রাখি শুক্রবার থেকে পুরোদমে মেলা জমে উঠবে। দর্শনার্থীর সমাগমও বেশ ভালো হবে। তবে কয়েকটি দোকান পরে বরাদ্দ নেয়ার কারণে দোকান মালিককরা দোকানগুলো এখনো পুরোপুরো নির্মাণ করতে পারেনি। ২/৩ দিনের মধ্যে আশা রাখি তারা কাজ শেষ করে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু করবে।