সবাই চায়, নিজেদের বিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে। তাই বলে পক্সক্ষীরাজে চড়েই যে রাজপুত্রকে আসতে হবে, আর সোনার কাঠি রুপার কাঠি থাকবে, শুক সারি গল্প বলবে আর তারপর সাত সমুদ্র ১৩ নদী পেরিয়ে রাজকুমারীকে নিয়ে উড়ে যেতে হবে; বিষয়টা কিন্তু তেমন নয়। বিয়ে নিয়ে সবাই নিজেদের মতো করে নিজেদের রূপকথার গল্প তৈরি করে নেন। যেমন, এবার করলেন ভারতের উদয়পুরের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫১ যুগল। উদয়পুরের গ্রামে নাচে-গানে-গল্প-আড্ডায় চার হাত করে এক হলো তাদের।
আর তারা মনের মধ্যে ফ্রেমবন্দি করলেন অসংখ্য মুহূর্তের। রাজস্থানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নারায়ণ সেবা সংস্থানের উদ্যোগে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় গণবিয়ের। রাজস্থানি প্রথা মেনেই হয় বিয়ে। বিয়ের আগে সবাই বড়দের আশীর্বাদ নেন।
বিয়ের পর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নববধূ গুঞ্জা জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি পোলিওতে আক্রান্ত। ৯ বছর আগে দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার সঙ্গে আলাপ হয় জিতেন্দ্রর। তখন থেকেই প্রেম। এরপর তার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেয় নারায়ণ সেবা সংস্থা। শুধু চিকিৎসা নয়, জীবনেরও দায়িত্ব নিয়ে ফেলল এই সংস্থা।