ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাবিতে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভেঙে আহত ২০

ঢাবিতে ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভেঙে আহত ২০

ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভেঙে পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে বানানো মঞ্চটি ভেঙে পড়ার সময় উদ্বোধনী বক্তৃতা দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার বিকাল চারটা ১০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত মানুষ মঞ্চে উঠায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এতে প্রায় ২০ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার বেলা সোয়া তিনটার সময় জাতীয় ও দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় মঞ্চে আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতা অবস্থান করছিলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আলী আসিফ ইনানের বক্তব্যের পর উদ্বোধনী বক্তৃতা দিতে আসেন ওবায়দুল কাদের। তার বক্তব্যের ১৭ মিনিটের সময় হঠাৎ মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদে সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধনসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। তবে কেউই গুরুতর আহত হননি। আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমাদের অনুষ্ঠানটি অনেক সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছিল। কিন্তু মঞ্চ ভেঙে পড়া একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। মঞ্চে নেতাকর্মীদের সংখ্যা বেশি থাকায় এমনটা হয়েছে। আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে, মঞ্চ ভেঙে পড়ার পর বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরই নিজেকে সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, এত নেতা আমাদের দরকার নেই। দরকার কর্মী। যেকোনো অনুষ্ঠানে গেলে সামনের লোকের চেয়ে মঞ্চে লোক বেশি। এত নেতা কেন? নেতা উৎপাদনের এত বড় কারখানা আমাদের দরকার নেই। এরপরই মঞ্চ ত্যাগ করে চলে যান তিনি। পরে বিকেল সাড়ে চারটার পর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তা থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। রং-বেরংয়ের ফেস্টুন ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রকল্পের চিত্র সংবলিত বিশালাকার ব্যানার ও পতাকা নিয়ে। শোভাযাত্রায় অংশ নেয় ঢাকাস্থ ছাত্রলীগের ইউনিটসমূহ। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়।

এই জনপদে দুজন মানুষ কখনো মরবেন না: কাদের : বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার কখনই শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগের শোভাযাত্রার মঞ্চ ভেঙ্গে পড়ার আগে দেওয়া উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, এই জনপদে দুইজন মানুষ কোনদিন মরবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু, তার স্বাধীনতা দিয়ে যে উত্তারাধিকার সেই উত্তরাধিকারের মৃত্যু নেই। মৃত্যু নেই শেখ হাসিনার। মুক্তির কাণ্ডারি তিনি। বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন এবং মুক্তি অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের গৌরব কে বলে অস্তাচলে? আমরা আজকে অঙ্গিকার করবো, ছাত্রলীগের গৌরবকে আমরা সৌরভ ছড়াবো। অস্তাচলে যেতে দিতে পারি না। ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বকে বলবো, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নবতর পথযাত্রার সূচনা করতে হবে। সারাবিশ্বে আমরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। সামনে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমাদের এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত