বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০২২ সালে (জানুয়ারি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১ হাজার ৫৬৫ কোটি ৫৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্য সামগ্রী, মাদকদ্রব্য এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭৭ কেজি ৬৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩ লাখ ১৬ হাজার ১৫৭ বোতল ফেনসিডিল, ১ কোটি ৮২লাখ ৯৩২ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ০৬৪ লিটার বাংলা মদ, ৩৭ হাজার ১২৬ ক্যান বিয়ার, ২৮ লাখ ৬৭২ কেজি গাঁজা, ৭২ কেজি ১৫৯ গ্রাম হেরোইন, ৪লাখ ৯৮ হাজার ৭৫৪টি নেশাজাতীয় ও উত্তেজক ইনজেকশন, ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৪০টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৭৬ লাখ ৫৬১টি ইস্কাফ সিরাপ, ১৩ কেজি ৪২৫ গ্রাম আফিম, ৮৪ লাখ ৫৫ লাখ ৫৬২টি বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১৩ লাখ ৫৬২ বোতল এমকেডিল/কফিডিল এবং ২৮ লাখ ১০ হাজার ০৬৩টি অন্যান্য ট্যাবলেট। জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৯৪ কেজি ৯৯৩ গ্রাম স্বর্ণ, ২৭৯ কেজি ১৬২ গ্রাম রুপা, ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৯টি শাড়ি, ৫৯ হাজার ৯৩৯টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ২১ হাজার ০৬৮টি তৈরি পোশাক, ৪ হাজার ১৪১ মিটার থান কাপড়, ২১ লাখ ৫৫ হাজার ০৯৪টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৩০ হাজার ৬৯৫ ঘনফুট কাঠ, ৭৩ হাজার ১৭৬ কেজি চা পাতা, ৬ লাখ ২১ হাজার ০১৩ কেজি কয়লা, ৩৫ হাজার ২২৩ ঘনফুট পাথর, ১ লাখ ২৫ হাজার ৭৫০টি ইমিটেশন গহনা, ৩১টি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ১ হাজার ৬৯৯ কেজি কারেন্ট জাল, ১৫২ কেজি ৫০০ গ্রাম কচ্ছপের হাড়, ৭৩টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ৪৪টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১০৬টি পিকআপ, ৩৪০টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮২৪টি মোটরসাইকেল। একই সময়কালে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪৬টি পিস্তল, ৯টি রাইফেল, ৫টি রিভলভার, ৭৯টি সব ধরনের গান, ৫ হাজার ৩৪৫ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২৫টি ম্যাগাজিন, ২৪টি মর্টার শেল, ১টি আর্টিলারি/রকেট শেল/বোম্ব, ২০টি ককটেল, ৪৫টি সিসা/সিসা বল, ৫১টি খালি খোসা এবং ৯৯৯.৬০০ কেজি বিস্ফোরক সদৃশ বস্তু। এছাড়াও সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ২০২২ সালে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হাজার ৯৫৩ জনকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২ হাজার ০৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ১১৭ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিজিবি কর্তৃক ১ হাজার ০৭৩ কোটি টাকা মূল্যের চোরাচালানি পণ্য জব্দ করা হয়েছিল। সেই হিসেবে ২০২২ সালে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের অধিক চোরাচালানি পণ্য জব্দ করা হয়েছে।