হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এটি সহজ কোনো অসুখ নয়। বরং একবার আক্রান্ত হলে বাড়ে আরও অনেক অসুখের ঝুঁকি। বিশ্বে প্রতি বছর হার্ট অ্যাটাকের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা কম নয়। জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে এই রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। খাবার, ঘুম, শরীরচর্চা সবকিছুই থাকতে হবে রুটিনের মধ্যে। চলুন জেনে নেয়া যাক হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে কোনো কাজগুলো করতে হবে-
নিজেকে হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে চাইলে অলস দিন কাটানো চলবে না। নিজেকে কর্মব্যস্ত রাখুন। নিয়মিত শরীরচর্চায় মন দিন। হাঁটাহাঁটির অভ্যাস বাড়ান। খানিকটা বিশ্রাম নেয়া অবশ্যই ভালো, তবে তাতে যেন অলসতা ভর না করে। বাসার টুকিটাকি কাজগুলো নিয়মিত করার অভ্যাস করুন। এতে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। মেডিটেশন, ধর্মীয় প্রার্থনা এগুলো আপনাকে মানসিকভাবেও সতেজ রাখবে।
খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার : সুস্থ থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে হলে নিয়মিত খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। আপনার প্রতিদিনের যেসব খাবার খাচ্ছেন তা রক্তে কোলেস্টেরলের, রক্তচাপ ও গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা বাড়ায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। এ কারণে প্রতিদিনের খাবারে যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। বাদ দিতে হবে সব ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার।
রক্তচাপ যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে : হার্টের অসুখের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো উচ্চ রক্তচাপ। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তাদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। কারণ উচ্চ রক্তচাপের ফলে হৃদযন্ত্রে রক্ত ও অক্সিজেনের প্রবাহ কমে যায়। যে কারণে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক। তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
স্ট্রেসমুক্ত থাকুন : হতাশা কিংবা মানসিক চাপ আমাদের অনেক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কোনো কারণে মানসিক চাপ অনুভব করলে তা মস্তিষ্কের কিছু জায়গার কাজ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। যে কারণে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। মন ভালো থাকে এমন সব কাজ করুন। বাড়তি দুশ্চিন্তা করবেন না।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে : ওজন অতিরিক্ত হলে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। কারণ ওজন অতিরিক্ত হলে বাড়ে উচ্চ রক্তচাপ এবং বেড়ে যায় কোলেস্টেরলের মাত্রা। ফলে বাড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। তাই আপনার উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক ওজন ধরে রাখার চেষ্টা করুন।