ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

সাড়ে ৪ সেকেন্ডে মারা যায় একটি শিশু

সাড়ে ৪ সেকেন্ডে মারা যায় একটি শিশু

আনুমানিক ৫০ লাখ শিশু তাদের পাঁচ বছর পূর্ণ করার আগেই মৃত্যুবরণ করেছে ২০২১ সালে। সেই হিসেবে সাড়ে চার সেকেন্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ২০২১ সালে ৫ থেকে ২৪ বছর বয়সি আরও ২১ লাখ মানুষ মারা গেছে। বুধবার জাতিসংঘের ইন্টার এজেন্সি গ্রুপ ফর চাইল্ড মরটালিটি এস্টিমেশনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, একই সময়ের মধ্যে ১৯ লাখ শিশু মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছে। এসব মৃত্যুর অনেকগুলোই উপযুক্ত চিকিৎসা এবং মা, নবজাতক, কিশোরী ও শিশুদের জন্য উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যেত। ইউনিসেফের প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং বিভাগের ডেটা অ্যানালিটিক্স ডিরেক্টর বিদ্যা গণেশ বলেছেন, প্রতিদিন অনেক অভিভাবক তাদের সন্তান হারানোর মানসিক আঘাতের সম্মুখীন হচ্ছেন। কখনও কখনও প্রথম নিশ্বাসের আগেই মারা যাচ্ছে শিশুরা। এ ধরনের ব্যাপক, প্রতিরোধযোগ্য ট্র্যাজেডি কখনই অনিবার্য হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয়। প্রতিটি নারী ও শিশুর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছা এবং লক্ষ্যভিত্তিক বিনিয়োগের মাধ্যমে অগ্রগতি সম্ভব। ওই প্রতিবেদনে ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী সব বয়সি মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি কমে আসাসহ কিছু ইতিবাচক ফলাফলের কথাও জানানো হয়েছে। শতাব্দীর শুরু থেকে বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সি মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ কমেছে, যেখানে আরেকটু বেশি বয়সি শিশু এবং যুবকদের মৃত্যুর হার ৩৬ শতাংশ কমেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। মৃত শিশু জন্মের হার ৩৫ শতাংশ কমেছে। নারী, শিশু এবং যুবক-যুবতিদের সুবিধার্থে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য আরও বেশি বিনিয়োগের জন্য এমন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

ইউনিসেফ জানায়, ২০১০ সাল থেকে এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং ৫৪টি দেশ পাঁচ বছরের কম বয়সি মৃত্যুর জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হবে। স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে ২০৩০ সালের আগে প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ শিশু এবং তরুণ মারা যাবে এবং প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ শিশু মৃত প্রসব হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত