ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ রক্ষা

প্রাণপণ লড়াই করার অঙ্গীকার জেলেনস্কির

প্রাণপণ লড়াই করার অঙ্গীকার জেলেনস্কির

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী বাখমুত ও সোলেদার শহর রক্ষা করে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে রাশিয়ান সৈন্যদের উপসাগরে রাখার জন্য সকল প্রচেষ্টা চালাবে। ইউক্রেনের সৈন্যরা দেশটির পূর্বাঞ্চলের বিধ্বস্ত শিল্প শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এসব শহর রাশিয়ান ভাড়াটেরা চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দখলে নিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। খবর বিবিসির

ক্রেমলিন প্রায় এক বছরের লড়াইয়ের পর বাখমুত এবং এর সঙ্গে সোলেদার দখল করাকে তাদের প্রাথমিক অগ্রগতি হিসেবে মনে করছে।

জেলেনস্কি সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে জানান, এই শহরগুলো রক্ষাকারী ইউনিটগুলোকে গোলাবারুদ ও প্রয়োজনীয় সবকিছু সময় মতো এবং কোন প্রকার বাধা ছাড়াই সরবরাহ করা হবে

ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গান্না মালিয়ার এর আগে বলেছিলেন, সোলেদারের জন্য লড়াইটি ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। তিনি বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইউক্রেনীয় সৈন্যরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে রাশিয়ান ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার দাবি করেছে যে, তাদের বাহিনী সোলেদারকে দখল করেছে। তবে মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে লড়াই চলছে এবং ইউক্রেন সোলেদার সম্পূর্ণ দখলের দাবি অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত সামরিক মানচিত্রে সোলেদারকে মস্কোর নিয়মিত সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে দেখা যায়নি।

সোলেদার ও নিকটবর্তী বৃহত্তর শহর বাখমুত নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য উভয় পক্ষই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের পূর্ব ডোনেটস্ক অঞ্চল দখল এবং অন্যান্য ফ্রন্টে লড়াইরত রাশিয়ান বাহিনীর ‘বীরত্বপূর্ণ’ কাজের প্রশংসা করেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অপারেশনের দায়িত্বে জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে দেয়ার পর সোলেদার নিয়ন্ত্রণে নিতে উভয়পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত