শৈত্যপ্রবাহের কারণে সাধারণ সর্দি-কাশির পাশাপাশি জয়েন্টে ব্যথা বেড়ে যায় শীতে। জয়েন্টে ব্যথা সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদ বা আর্থ্রাইটিসে আক্রান্তদের বেশি প্রভাবিত করে। কিছু মানুষ আবার শুধু শীতেই জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করে। এই ব্যথা বেশিরভাগ সময়ই আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে হয়। শীতে জয়েন্টে ব্যথার অন্যতম কারণ হলো এ সময় নিম্ন তাপমাত্রায় পেশির খিঁচুনি হতে পারে। ফলে পেশি শক্ত হয়ে যায় ও জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। এছাড়া সূর্যের সংস্পর্শ কম হওয়া শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে হাড় ও জয়েন্টে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ও ব্যথা বাড়ে।
আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে পায়ের আঙুলসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রক্ত চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে জয়েন্টে ব্যথা বাড়ে। শীতে আপনি যদি জয়েন্টে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব করেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কাশির সঙ্গে কফ ওঠা হতে পারে গুরুতর যে রোগের লক্ষণ। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ফলে শরীরের অঙ্গগুলো সচল থাকবে। শীতকালে বেশিক্ষণ বসে থাকার ফলে যে ব্যথা হয় তা দূর করতে সাহায্য করে শরীরচর্চা। কাঁধে-পায়ে ভীষণ যন্ত্রণা, ওমিক্রন বিএফ.৭ এর লক্ষণ নয় তো?। ঠান্ডায় নিজেকে উষ্ণ রাখুন। আপনি যদি বাড়ির অভ্যন্তরে থাকেন তাহলে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হিটার ব্যবহার করতে পারেন। আর বাইরে গেলে টুপি, গ্লাভস, স্কার্ফসহ গরম পোশাকের স্তরে নিজেকে ভালোভাবে ঢেকে রাখুন। শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসলের অভ্যাস কি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়?। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার জয়েন্টের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। শীতকালে জয়েন্টের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে স্যালমন, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড ও অ্যাভোকাডোর মতো খাবার খান। বেশিরভাগ মানুষই শীতে পানিশূন্যতায় ভোগেন, এর অন্যতম কারণ হলো এ সময় পানি পান করার পরিমাণ কমিয়ে দেন কমবেশি সবাই। তবে পানির ঘাটতি কিন্তু জয়েন্টের ব্যথা বাড়াতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।