বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা যে যুদ্ধে নেমেছি, এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হবই হব। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।
তিনি বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী আটক রয়েছেন। কিন্তু কারো মুখে ক্লান্তি, হতাশা দেখিনি, দেখেছি সবাইকে উজ্জীবিত। যতই নির্যাতন আসুক, যতই নিপীড়ন আসুক, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করব।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা একটি আদর্শ ও লক্ষ্যের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সে আদর্শ ও লক্ষ্য হচ্ছে তার নিজের দেশ, সেই দেশকে মুক্ত করার জন্য সব মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
তিনি বলেন, গত ২২ আগস্ট থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য আমরা যে কর্মসূচি শুরু করেছি, এ কর্মসূচিতে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন। এ অগণতান্ত্রিক ও একনায়কতন্ত্র সরকার টিকে থাকার জন্য অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় দলের চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত তিন নেতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন বিএনপির মহাসচিব।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।