আদালতের নিরাপত্তা জোরদারে প্রধান বিচারপতির ১১ দফা নির্দেশনা
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সব আদালতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি দেশের সব নিম্নাদালত ও ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান স্বাক্ষর করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্ট থেকে এর আগে একাধিকবার দেশের প্রত্যেক আদালতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। অধস্তন দেওয়ানি আদালতে মোকদ্দমাগুলোর নথিতে বিচারপ্রার্থী জনগণের মূল দলিল- ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র থাকে। আদালতের হেফাজতে থাকা এসব দলিলাদি ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি-নষ্ট হলে আদালতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলো হলো- আদালত ও বিচারকদের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর সুসংহত করা। আদালত ও ট্রাইব্যুনালের এজলাস, বিভাগ, প্রতিটি ফটক ও আদালতের বাইরে সিসিটিভি স্থাপন করা। আদালত ভবনের বাইরে ও ভেতরে নিরাপত্তা প্রহরী দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়া। আদালত ভবনের দরজা ও জানালাগুলো গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্রিল আরও মজবুত করা এবং ভঙ্গুর দরজা ও জানালাগুলো নতুন করে স্থাপন করা। আদালত চত্বরে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা। মামলা সংশ্লিষ্ট নথিপত্রের নিরাপদ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা করা। আদালতে ব্যবহারের নিমিত্ত মানসম্মত ফার্নিচার-লকার নিশ্চিত করা। আদালত সীমানার চারিদিকে সিকিউরিটি পোস্ট স্থাপন করা। জরুরি ভিত্তিতে সারা দেশের আদালত এলাকায় রাতে সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল জোরদার করা। অবকাশকালীন সময়ে আদালত ভবনের বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা। প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কর্মকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা।
এই নির্দেশনাগুলো আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করে দেশের প্রত্যেক আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।