বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় হিরো আলমের আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম এই রিট দায়ের করেন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনের সচিব, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা পরে নির্বাচন কমিশন থেকেও বাতিল করা হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন হিরো আলম। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুপুর ১টার দিকে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। এরপর হিরো আলম মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ জানুয়ারি আপিল করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে। সেই আপিলেও গত ১২ জানুয়ারি খারিজ করেন নির্বাচন কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গরমিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আলোচিত হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে মনোনয়নপত্র তোলেন। ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে। মনোনয়নপত্রে ভোটারের সই জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর বগুড়ার তৎকালীন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে ‘সিংহ’ প্রতীক তুলে দেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে ভোটের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।