আন্দোলনের সুনামিতে সরকার ভেসে যাবে

বিএনপি নেতা মিন্টু

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্দোলনের সুনামিতে সরকার ভেসে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে পানির ট্যাঙ্কের সামনে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ‘১২ দলীয় জোটের’ বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি ও অব্যাহতভাবে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। একই ইস্যুতে বিএনপি ও অন্যান্য শরিকরা গত সোমবার বিক্ষোভ করলেও বিএনপির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাপা ক্ষোভের কারণে একদিন পর এ কর্মসূচি পালন করে জোটটি। মিন্টু বলেন, আমরা তো এখনো আন্দোলন শুরু করিনি। তাতেই সরকারের লোকেরা বলে, তারা নাকি ধাক্কা দিলে পড়বে না। আমি বলব, কত বড় ধাক্কা লাগবে তুফানের সঙ্গে কিন্তু সুনামিও আসে। দরকার হলে আমরা সবাই মিলে সেটাও তৈরি করব। আন্দোলনের সুনামির ধাক্কায় এই সরকার ভেসে চলে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি, আওয়ামী লীগের ডাকে ২০০ লোকও আসত না। আগামীতে দুজনও আসবে না। আওয়ামী লীগ এখন দেশে দুঃস্বপ্নের নাম। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। এরা নিজেদের স্বার্থে দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশকে রক্ষা করা আমাদের সবার ইমানি দায়িত্ব।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আজকে দেশের লোক বহু কষ্টে আছে। সরকার বলেছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আসলে বিশ্বে এখন ২৫ শতাংশ তেলের দাম কমেছে।

দেশে এগুলোর দাম কমানোর কোনো লক্ষণ নেই। তারা বলে, ‘২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আছে।’ ২৪ হাজার নাকি উৎপাদন হচ্ছে। তাহলে এত লোডশেডিং কেন কারণ, তাদের দুর্নীতি ও লুটপাট। তাদের বিদায় করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ২৫ জানুয়ারি বাকশাল দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালনের লক্ষ্যে সারা দেশে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি করা হবে। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় বিক্ষোভ-পূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির চেয়ারম্যান কারি মোহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাসেমসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।

এ সময় তারা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, আমরা বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে আছি এবং থাকব।

সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ১২ দলীয় জোটের রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কসংলগ্ন রাস্তা থেকে শুরু হয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে আবারও বিজয়নগরে পানির ট্যাঙ্কের সামনে এসে শেষ হয়।