ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে ওবায়দুল কাদের 

জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের হিংস্র থাবা আবারও দৃশ্যমান

জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের হিংস্র থাবা আবারও দৃশ্যমান

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ আমাদের দেশ গভীর ষড়যন্ত্রের মুখে। এ দেশ আবারও সাম্প্রদায়িকতার ছোবলে আক্রান্ত, জঙ্গিবাদের যারা এদেশে সূচনা করেছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও হিংস্র থাবা দৃশ্যমান হচ্ছে। এখানে রাজনীতির পাশাপাশি সংস্কৃতির দায়িত্ব আছে। এ শত্রু আমাদের অভিন্ন শত্রু। ওরা স্বাধীনতার দুশমন, মুক্তিযুদ্ধের দুশমন। এদের হৃদয়ে বাংলাদেশ নেই। আজ বাঙালিয়ানার বিশ্বস্ত ঠিকানা শেখ হাসিনা। তিনিই আমাদের আসল ঠিকানা? আজ সময় এসেছে তার হাতকে শক্তিশালী করার। অপশক্তিকে প্রতিহত করতে আজ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের আদলে স্মার্ট জাদুঘর বানাব। আমি একটি ভুল করেছি। আমি কুষ্টিয়ায় লালন শাহকে ইট পাথরের খাঁচায় বন্দি করেছি। এখন সেখানে গেলে আফসোস হয়। কেন করলাম। তখন যারা বিরোধিতা করেছিল, ঠিক করেছিল। কারণ লালনকে ইট পাথরের খাঁচায় মানায় না। সেই বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে বিল্ডিং বানাতে গিয়ে।  তিনি আরও বলেন, এই ভূমি বঙ্গবন্ধুর প্রিয় ভূমি। এটাকে ইট পাথরে বন্দি করবেন না। সংস্কৃতির আসল রূপ ধরে রাখতে হবে। বিল্ডিং করে কোনো লাভ নেই। বাঁশ দিয়ে আপনারা যে সেতু তৈরি করেছেন, সেটাই এখানকার ঐতিহ্য। এটাকে বহাল রাখতে হবে। এটার আদি রূপটাকে সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। এখানে এসে ইট পাথর বড় বড় বিল্ডিং দেখব, সেটা ঠিক নয়। এখানে কাঁচা রাস্তাই মানায়। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে এ জাদুঘরের উদ্বোধনে এসেছিলাম? এখানকার বিখ্যাত জামদানি। এদের আরও উৎসাহ দেয়া দরকার। আন্তর্জাতিকভাবে এ শিল্প ও এখানকার পণ্যসামগ্রী তুলে ধরতে হবে। এখানকার পণ্য আমাদের জন্য লাভজনক। এ বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিলে আমাদের এখানে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নে উজ্জীবিত হয়ে এ ফাউন্ডেশনের যাত্রা সূচনা করেছিলেন, সেটা স্বার্থক হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ সম্পদ বাংলাদেশের। এখানকার পরিবেশ ভিন্ন মেজাজের। এখানে আগাগোড়া আমাদের সংস্কৃতি ফুটে উঠবে। আজকের সমাবেশ সাংস্কৃতিক। সব জায়গায় রাজনীতি টেনে আনবেন না। এখানে স্লোগান পাল্টা স্লোগান কী আদৌ প্রয়োজন। আমাকে যার যার শক্তি দেখানোর চেষ্টা। আমি রাস্তায় বের হলে স্লোগান দিতে পারেন। তবে এখানে সে ধরনের স্লোগান মোটেও মানায় না। স্লোগান পাল্টা স্লোগান মোটেও আমার ভালো লাগেনি। আমি বিরক্ত হয়েছি। এটা আমাদের সংস্কৃতির আমানত। এটা আপনারা বজায় রাখবেন। এটা আমার অনুরোধ। এ সময় সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী খালিদ হাসান, স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতসহ স্থানীয় আওয়াম ীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত