ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রযুক্তির অপব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে

প্রযুক্তির অপব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে

তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনযাপনকে অনেক সহজলভ্য করে তুলেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। বলতে গেলে কারো ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ছাড়া তাদের জীবন প্রায় অচল হয়ে পড়ে। তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার রয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে যা আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তেমনি আবার আমাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা কিরকম সুযোগ-সুবিধা পেতে পারি তা একমাত্র নির্ভর করে আমাদের ব্যবহারের ?উপর। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছি কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছি। প্রযুক্তি ব্যবহারে ফলে দেশ তথা বিশ্ব উন্নত তার পাশাপাশি সভ্যতার কিছু লোপ পাচ্ছে। আমরা কখনো ভাবি নাই যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আমাদের সমাজের অনেক ক্ষতিও হচ্ছে।

আমাদের সকলেরই জানা যে, প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সারা বিশ্ব উন্নত হচ্ছে সেহেতু আমাদের উচিত প্রযুক্তি সঠিক ব্যবহার করা আর তার অগ্রগতি বৃদ্ধি করা কিন্তু এই প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করার ফলে আমরা আমাদের জীবনকে নিজেরাই ধ্বংস করে দিচ্ছি। বর্তমান সময়ের সব থেকে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হলো কতগুলো সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম যার মাধ্যমে খুব অল্প বয়সেই কিশোররা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

যেখানে চলতে থাকে কিশোরদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যার প্রভাব পড়তে থাকে সাধারণ সামাজিক জীবনে যা একটা পর্যায় কিশোর গ্যাং এ পরিণত হয়; যা বর্তমান সময়ে সবথেকে মারাত্মক একটি ক্ষতিকর দিক যা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে আর চারদিকে শুধু কিশোর গ্যাং এর আধিপত্য বিস্তার করছে আর হত্যা হানাহানি চলতেছে। খবরের পত্রিকা খুললেই দেখা যায় যে কিশোর গ্যাং-এর সংঘর্ষ কারো মৃত্যু হচ্ছে কারো বা হাত পা ভাঙছে এই খবরই ভেসে আসছে। যা আমাদের সমাজকে খুবই মারাত্মক হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আর এর একমাত্র কারণ হলো অল্প বয়সে কিশোরদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন আর এর মাধ্যমেই তারা জড়িয়ে পড়ছে অপরাধের জগতে।

এখানেই শেষ হচ্ছে না তথ্যপ্রযুক্তিতে অপব্যবহার করে চলে আরো মারাত্মক ধরনের অপরাধ যা অন্যতম অপরাধ হ্যাকিং। বর্তমানে দেখা যায় কম্পিউটার বা মোবাইলের তথ্য হ্যাক করে নিয়ে যাচ্ছে। আপনার মোবাইলের বা কম্পিউটারের তথ্য হ্যাকারের হাতে যাওয়ার জন্য আপনি নিজেই দায়ী। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো অপরাধ জগতের একটি অন্যতম মাধ্যম যেখানে মানুষ অল্পতেই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের মূল্যবান তথ্য হ্যাকাররা হ্যাক করে নিয়ে যায়।

তার পরে তাদের ব্ল্যাকমেইলে ব্যবহারকারী তথ্য ফেরত দেওয়ার জন্য দাবি করে মোটা অংকের টাকা যা না দিতে পারলে তার তথ্য আর ফেরত দেয়া হয় না। যাতে করে তার প্রয়োজন তথ্য আর ফিরে পায় না পেতে হলে গুনতে হয় লক্ষ্যাধিক টাকা।

তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমের প্রভাব বাড়তে থাকে যাতে করে একটি পরিবার থেকে শুরু পুরো সমাজের উপর প্রভাব পরে। আর এসবের একমাত্র কারণ হলো প্রযুক্তির অপব্যবহার। প্রযুক্তিকে আপনি যেই ভাবে ব্যবহার করবেন সেই ভাবে আপনাকে ফলাফল দেবে। ঘরে স্বামী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বাইরের প্রেমিকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এতে করে দেখা দেয় দুটি পরিবারে বড় ধরনের সমস্যা এবং এর প্রেক্ষাপটে একটা পর্যায় সংসার ছাড়াছাড়ি ও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে যা বর্তমানে খবরের পত্রিকা খুললে দেখা যায় এমনি পরকীয়া প্রেমের কথা।

আর এমনিভাবে নিজেরাই প্রযুক্তিকে অপব্যবহার করে চলছে প্রতিনিয়ত আর সেই দোষটা এসে পড়ছে প্রযুক্তির উপর। তথ্যপ্রযুক্তি এই কারণে আবিষ্কার করা হয়নি তা ভালো কাজে ব্যবহার করে বিশ্বকে উন্নত করার জন্য আবিষ্কার করা হয়েছে কিন্তু আপনার তা সঠিক ব্যবহার করছেন না। আপনার তার অপব্যবহার করছেন আর অপব্যবহার করার ফলে আপনারা সেই রকম ফল পাচ্ছেন। তাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করে সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত