ওভারব্রিজ থেকে বিদ্যুতের পিলার, ল্যাম্পপোস্ট থেকে দেয়াল সর্বত্রই দেখা মেলে পোস্টার-ব্যানার আর ফেস্টুনের। এর মধ্যে রয়েছে টু-লেট, বিভিন্ন ব্যক্তির প্রচার, বিজ্ঞপ্তিসহ নানা প্রচারণা। রাজধানী ঢাকার অলিগলি থেকে মহাসড়ক, সকল জায়গায় এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। এর থেকে রক্ষা পায়নি মেট্রোরেলের পিলারও। নানা প্রচার আর নির্দেশনা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না যত্রতত্র এসব পোস্টার। এমতাবস্থায় শহরের সৌন্দর্য যেন নষ্ট না হয় সেই লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রাজধানীর কিছু অংশে পোস্টার-ব্যানার লাগানোর জায়গা ঠিক করে দিয়েছে সংস্থাটি। সরেজমিন দেখা যায়, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলক পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে পোস্টার লাগানোর নির্ধারিত স্থান’ লেখা সংবলিত বড় বোর্ড বসিয়েছে সংস্থাটি। ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় ১৬/৬ ফিট সাইজের এ বোর্ড বসানো হয়। আশপাশের এলাকার যে কোন বিষয়ে প্রচারণার জন্য এ বোর্ডে পোস্টার, ব্যানার ও বিজ্ঞাপন লাগাতে হবে। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে একই ওয়ার্ডে আরও পাঁচটি বোর্ড বসানো হবে। ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মিরপুরে একটি পোস্টার লাগানোর বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এখানেই সবাইকে পোস্টার লাগাতে হবে।
জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, এই প্রকল্পে সুফল মিললে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্যান্য ওয়ার্ডেও একই রকমের বোর্ডগুলো স্থাপন করতে চায় উত্তর সিটি। ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিরপুর এলাকায় শুধুমাত্র পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে এটা চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে বোর্ডগুলোতে সাধারণ মানুষ কীভাবে তাদের প্রচারণায় পোস্টার লাগাবে, একজন কয়টি পোস্টার লাগাতে পারবেন অথবা লাগানো পোস্টার কতদিন রাখা যাবে, সব বিষয় নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। পোস্টার বোর্ড প্রকল্পটি সফল হবে, যত্রতত্র ব্যানার, পোস্টারে আর শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হবে না বলেও আশা প্রকাশ করছেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, ঢাকা শহরে যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার, রেক্সিন, দেয়ালে লেখা, সাইনবোর্ড, ব্যানার এসব লাগানোর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যহত হচ্ছে। একই সঙ্গে নগরীও অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় এবং স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে হলে এসব বন্ধ করতে হবে। এজন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মিরপুরে একটি পোস্টার লাগানোর বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এখানেই সবাইকে পোস্টার লাগাতে হবে। তিনি আরও জানান, মেয়রের নির্দেশনায় ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে পোস্টার লাগানোর স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হবে। নির্ধারিত স্থানেই কেবল পোস্টার লাগানো যাবে। নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও কেউ পোস্টার লাগাতে পারবে না। যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধে আইন আছে উল্লেখ করে ডিএনসিসির এ কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও সতর্ক করেছি আমরা। যত্রতত্র অবৈধভাবে পোস্টার ব্যানার লাগালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।