নির্বাচন ব্যবস্থায় বিদেশিদের কোনো ফরমায়েশে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে বিদেশিরাও কিছু বলেন নি। কারণ, তাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক নেই। বাংলাদেশে অহেতুক কেন তত্ত্বাবধায়কের নামে বিএনপির চক্রান্তমূলক রাজনীতি? আসলে বিএনপি সরকারের উন্নয়ন অর্জনে হেরে যাবে, সে জন্য তারা আজকে দিশেহারা। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে সেই বিদেশিরাও বিএনপির পক্ষে কিছুই বলে না। বিদেশিরা পর্যবেক্ষক হিসেবে আসতে পারেন, কোন বাধা নেই।
গতকাল আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওবাযদুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের বস্ত্র হরণকারীদের মুখে
গণতন্ত্রের বুলি মানায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই। এই দেশে গণতন্ত্রের যা কিছু অর্জন, সবই কিন্তু আমাদের। পঁচাত্তর পরবর্তীতে শৃঙ্খলিত গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করার অগ্রভাগে ছিলেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, গণতন্ত্র একটা বিকাশমান প্রক্রিয়া, সময় পরিবর্তন যতই আসবে আমরা শত বাধা বিপত্তির মাঝে আমাদের নেত্রী গণতন্ত্র বিকাশমানে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। আমাদের এখানকার গণতন্ত্র আমরাই চালাব। কারও ফরমায়েশে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না। আমরা নির্বাচন করি, কেমন নির্বাচন করি পর্যবেক্ষক হিসেবে শেখ হাসিনা বিদেশিদের স্বাগত জানিয়েছেন। সে আমেরিকা থেকে আসুক, ইউরোপ থেকে আসুক, যেখান থেকে ইচ্ছা পর্যবেক্ষক আসুক, এখানে কোনো বাধা নেই। এখানে কারও জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ষড়যন্ত্র করি না কিন্তু ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা হত্যার রাজনতিতে বিশ্বাস করি না কিন্তু আমরা বারে বারে হত্যার শিকার হই। এটা হলো বাংলাদেশের বাস্তবতা।
বিএনপির ঘরেই গণতন্ত্র নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে বিএনপি কখন যে কি বলে নিজেদের ঘরটাতে তাদের গণতন্ত্র নেই। ফখরুল সাহেব নিজেরও হয়তো মনে নেই কবে তার সম্মেলন হয়েছে। আমি তিন তিনবার সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেলাম, কিন্তু বিএনপি? ঢাকা থেকে তৃণমূলে, আমাদের কয়েক হাজার সম্মেলন হয়ে গেছে, কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড ইউনিট পর্যন্ত। অথচ তাদের নির্বাচিত কোনো প্রতিনিধি নেই। সেই সুযোগ তাদের দলে নেই, সহযোগিদের সম্মেলন নেই, ঘরে বসে কমিটি দিচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবার আওয়ামী লীগকে গণতন্ত্র শেখাতে আসে। ফখরুল সাহেবদের লজ্জা পাওয়া উচিত। তাদের আমলেই গণতন্ত্রের উপর আঘাত এসেছে সবচেয়ে বেশি। তাদের আমলে ১৫ ফেব্রুয়ারি মাগুরা মার্কা প্রহসনমূলক নির্বাচন, হ্যাঁ/না ভোট। যেখানে হ্যাঁ ভোটের পার্সেন্টেজ ১১৪ পার্সেন্টও হয়েছে। জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ/না ভোট। তাদের আমলে ভোট চুরির রেকর্ড হয়েছে, সকাল ১১টার মধ্যে ভোট শেষ, তাদের আমলে ১ কেটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার হয়েছে, যে জন্য ওয়ান-ইলাভেন হয়েছে, এটা অন্যতম কারণ।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু বক্তব্য রাখেন।