গির্জায় গেলে সমকামীরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাবে, কিন্তু সেখানে বিয়ের জন্য অনুমতি মিলবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে চার্চ অব ইংল্যান্ড। গত ৫ বছর ধরে চলা তর্ক-বিতর্কের পর এক বিবৃতির মাধ্যমে এ ঘোষণা দিল ব্রিটিশ চার্চ। এ ঘোষণার পর ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি বলেছেন, সিদ্ধান্তটিতে জনসাধারণের ভালোর জন্য নেয়া হয়েছে। অনেকের কাছে এটি গ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে, আবার অনেকেই মনে করতে পারেন এটি যথেষ্ট নয়। তিনি আরও বলেন, যৌন সম্পর্ক ও বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তটির চার্চ অব ইংল্যান্ডের দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করে। আমি সেই বৈচিত্র্যে আনন্দিত। আমাদের গির্জায় এ সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের উপায়কে আমি স্বাগত জানাই।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার সমকামী বিয়ে ও যৌনতা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসে গির্জার বিশপরা। বৈঠকে উঠে আসা প্রস্তাবগুলো নিয়ে তারা আগামী ৬ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এরপর সেগুলো গির্জার আইন প্রণয়ন সংস্থা জেনারেল সিনাডে তোলা হবে। কিন্তু তার আগেই গির্জায় সমকামীদের বিয়ে ব্যাপারে ‘না’ জারি করা হয়। তবে, সমকামী দম্পতিরা গির্জায় গিয়ে প্রার্থনাসহ অন্য আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে পারবেন।
আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি এ ব্যাপারে বলেন, আমি বলতে চাই চার্চ অব ইংল্যান্ড সর্বজনীন ও দ্ব্যর্থহীনভাবে সব খ্রিস্টান এবং এলজিবিটিকিউ প্লাস সম্প্রদায়কে স্বাগত জানাবে। কারণ, গির্জাটি যিশু খ্রিস্টের দেহের একটি মূল্যবান অংশ। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সমকামী বিবাহ বৈধ। কিন্তু চার্চ অব ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত এটিকে স্বীকার করেনি। যদিও ওয়েলসের অ্যাংলিকান চার্চ গত সেপ্টেম্বর থেকে সমকামী বিয়ে ও তাদের আশীর্বাদ করতে অনুমতি দিয়েছে। সূত্র: ব্লুমবার্গ