চাষাবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসল
যমুনা নদীর বুকজুড়ে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে : নৌ চলাচলে বিঘ্ন
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর বুকজুড়ে অসংখ্য চর ও ডুবোচর জেগে উঠেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পলি জমে এ পরিণতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে নৌযান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরবর্তী চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অধিকাংশ স্থানে চর ও ডুবোচর জেগে উঠেছে। ভরা মৌসুমে যেখানে পানিতে ভরপুর ছিল আজ সেখানেই জেগে উঠেছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। জেগে ওঠা এ জমির মালিকরা বালুচরে বাদাম, কলাই, সরিষা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করছেন। ফসল চাষের জমি জেগে উঠলেও যমুনার সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে। কারণ সম্পর্কে বিশিষ্টজনরা বলছেন, সময়মতো যমুনা নদী খনন না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, শীত এলেই নদীর বুকজুড়ে জেগে ওঠে চর ও আবাদি জমি। এসব জমিতে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকে। এখন যমুনায় অসংখ্য চর ও ফসলি জমি জেগে উঠেছে এবং যোগাযোগের ব্যবস্থাও খারাপ। এছাড়া পানি কমে যাওয়ায় নৌ-শ্রমিক এবং জেলেরা এখন প্রায় বেকার। সিরাজগঞ্জ, চৌহালী ও এনায়েতপুর নৌ-ঘাটের শ্রমিকরা বলেন, প্রায় ১৬ বছর ধরে নৌ-শ্রমিকের কাজ করছি। শীতকালে যমুনা নদী বিভিন্ন স্থানে নালায় পরিণত হয়েছে। এ কারণে যমুনার বিভিন্ন নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এজন্য অন্য পেশায় যাওয়ার চিন্তাও করছে তারা। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বর্ষাকালে যমুনা নদী তার যৌবন ফিরে পায়। এ নদী শীতকালে পানিশূন্য থাকে। নদীর বিভিন্ন স্থানে এখন চর জেগে উঠেছে। এ কারণে যমুনা নদীতে স্রোতও নেই। ভাঙন এলাকার কোথাও এখন ভাঙনও নেই। তবে ভাঙন এলাকা সংস্কার কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।