ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যশিক্ষা

সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ ডেপুটি স্পিকারের

সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ ডেপুটি স্পিকারের

কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য শিক্ষাবিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা ‘জাতীয় কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য কৌশল ২০১৭-২০৩০ এর জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বার্ষিক বাজেট বিশ্লেষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই সুপারিশ তুলে ধরেন। ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। গতকাল সোমবার সংসদ ভবনস্থ পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে অপরাজেয় বাংলাদেশ, প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও সুইডেন ভেরিজ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অপরাজেয় বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদা বানু। আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, জাকিয়া পারভীন খানম, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও আদিবা আনজুম মিতা, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. মাহমুদুর রহমান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সচিব কল্লোল কুমার চক্রবর্তী, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, ড. ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ। প্রবন্ধ উত্থাপন করেন গবেষক সায়মা চৌধুরী ও অধ্যাপক ইশতিয়াক বারী।

সভায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, কিশোর-কিশোরীদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। জৈবিক বিষয়গুলো কিশোর-কিশোরীরা পরিবারের সঙ্গে নিঃসংকোচে যেন আলোচনা করতে পারে, সেই আবহ প্রতিটি ঘরে ঘরে তৈরি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীবান্ধব পরিবেশ তৈরি করে তাদের পাঠদানের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। এছাড়া শিশু কিশোরদের জন্য কোন কোন খাতে বরাদ্দ প্রয়োজন এবং কিভাবে ও কোন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে খরচ করা হবে, সে বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন।

সরকারের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব আজকের দিনের কিশোর-কিশোরীদের হাতেই এক সময় তুলে দিতে হবে। বর্তমান প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক ও নারী-পুরুষে বৈষম্যহীন মনোভাবাপন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার প্রতিটি জেলা-উপজেলাসহ সব পর্যায়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলোতে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সম্পৃক্ত রয়েছে। কমিটি এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের জৈবিক পরিবর্তন ও প্রয়োজনীয় চাহিদা সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনার পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি। সভায় বক্তারা বলেন, সরকার কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য কৌশল নির্ধারণ করলেও বাজেট বরাদ্দের অভাব রয়েছে। আবার বরাদ্দকৃত বাজেট যথাযথ ভাবে ব্যয় হচ্ছে না। আবার প্রচারের অভাবে সেবাসমূহ সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীরা জানতে পারছে না। ফলে তারা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিবার, সমাজসহ সবাইকে আরো সচেতনও হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত