ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

কেঁচো সার উৎপাদনে লাখ টাকা আয়!

কেঁচো সার উৎপাদনে লাখ টাকা আয়!

পরিবেশবান্ধব কেঁচোসার উৎপাদন ও বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন ফরিদপুর জেলার পৌর এলাকার শোভাররামপুর মহল্লার বাসিন্দা তানিয়া পারভীন। ২০১৭ সালে মাত্র তিনটি রিং সøাব দিয়ে সারের উৎপাদন শুরু করলেও বর্তমানে বিশাল টিনের সেড ও ছাপড়ার নিচে তৈরিকৃত ২৪টি হাউসে চলছে সারের উৎপাদন। গুণমানে উন্নত এই কেঁচোসারে যেমন কৃষকের জমির ফলন ভালো হয়, তেমনি দামেও বেশ সাশ্রয়ী।

এদিকে কম্পোস্ট ব্যবহারকারী চাষিরা বলেছেন, কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে উৎপাদন ভালো হচ্ছে। পাশাপাশি এই কেঁচো সারে উৎপাদিত শাকসবজির পুষ্টিমান ভালো থাকায় স্থানীয় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। প্রচলিত সারের তুলনায় কেঁচো সার বেশ সাশ্রয়ী ও গুণেমানে সেরা ফলে স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সারা দেশেই চাহিদা রয়েছে কেঁচো সারের বলে জানিয়েছেন তানিয়া। তানিয়া জানান, ২০১৭ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে বেশ সফলতা এসেছে। বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় দেড় টন কেঁচো সার উৎপাদন হয়। স্থানীয় বাজারসহ সারা দেশে যে পরিমাণ চাহিদা, সে পরিমাণ জোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি কেঁচো সার পাইকারি সাড়ে ১২ টাকা দরে বিক্রি করলেও খুচরায় প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয় বলেও তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, এই সার বিক্রি করে আমার প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। সারের চাহিদা থাকায় দিন দিন উৎপাদন বাড়িয়েছি। এখন এলাকার অনেকেই আমার কাছ থেকে সার উৎপাদনের কৌশল রপ্ত করেছেন। তারাও আগামীতে ভার্মি কম্পোস্ট সারা উৎপাদন করবেন। তবে এজন্য সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন। ফরিদপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবুল বাসার মিয়া বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার অত্যন্ত নিরাপদ ও সাশ্রয়ী একটি জৈব সার। এছাড়া নাসরিনের উৎপাদিত কেঁচো সার অনেক ভালো। চাষিদের এই সার ব্যবহার করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত