খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানীতে তার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠসহ তার কবরে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে শ্রদ্ধা জানান। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।
এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, তাবিথ আউয়াল মহানগর দক্ষিণের নবী উল্লাহ নবী, যুব দলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেছেন।
তিনি বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি নিজে রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তাকে যে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে সেই মৃত্যুবরণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই সবচেয়ে বড় কারণ হয়েছিল।
তিনি বলেন, এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলংকময় ১/১১ ‘র ঘটনার পর আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয় মিথ্যা মামলায়, মিথ্যা অজুহাতে, পরে তাকে নির্বাসিত করা হয়। আমরা দেখেছি যে, করুণ অবস্থায় তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, বিদেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান কোকো। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
১/১১ সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হন কোকো। ২০০৮ সালে উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি। সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় যান।
এদিকে গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।