কাশির সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একই সঙ্গে দূষিত ওষুধ থেকে শিশুদের সুরক্ষায় অবিলম্বে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ২০২২ সালে গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও উজবেকিস্তানে কাশির সিরাপ খেয়ে তিন শতাধিক শিশুর মৃত্যু হয়। তাদের বেশির ভাগেরই বসয় ৫ বছরের কম। গত সোমবার ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিডনিতে তীব্র আঘাতের কারণে ওই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। দূষিত ওষুধের সঙ্গে এর সম্পর্ক ছিল। কাশির সিরাপগুলোতে উচ্চ মাত্রার ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল ছিল। ডব্লিউএইচও বলেছে, ‘এই দূষকগুলো শিল্প দ্রাবক এবং অ্যান্টিফ্রিজ এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিক। এটি এমনকি অল্প পরিমাণে গ্রহণ করাও মারাত্মক হতে পারে। কোনো অবস্থাতেই ওষুধে এটির উপস্থিতি থাকা উচিত নয়। এরই মধ্যে একাধিক দফায় ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং মেরিয়ন বায়োটেকের তৈরি কাশির সিরাপ সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। কেন না, ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সিরাপ খেয়েই গাম্বিয়া ও উজবেকিস্তানে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ ডিসেম্বর উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতীয় সর্দি-কাশির সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়। নয়ডাভিত্তিক ম্যারিওন বায়োটেকের ডক-১ ম্যাক্স সিরাপ খেয়েছিল তারা। এর তীব্র শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় তাদের।