গণ-অভ্যুত্থান দিবসে মতিয়া চৌধুরী

শহিদ মতিউরের আদর্শে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান

প্রকাশ : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আন্দোলনে শহিদ মতিউরের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানালেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজে ক্যাম্পাসে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম এমপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান এমপি ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম এবং ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবিরসহ অন্যান্য নেতারা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন- ৬ দফা উত্থাপনের পর দমনপীড়ন বেড়ে যায়। এই দমনপীড়নের প্রতিবাদে এবং ছাত্রদের কিছু মৌলিক দাবি নিয়ে ’৬৯ এর জানুয়ারি মাসে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১১ দফা উত্থাপন করে জনগণকে তাতে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান। মূলত ৬ দফা, ১১ দফা ও গণতান্ত্রিক অধিকার পরিষদের ৮ দফা এক সূত্রে গাঁথা ছিল। এর ভিত্তিতে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। ২০ জানুয়ারি ১১ দফা দাবি আদায়ের মিছিলে ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। পরে এর প্রতিবাদে ২৪ জানুয়ারি আহূত হরতালের মিছিলে নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থী মতিউর রহমান মল্লিককে গুলি করে হত্যা করা হয়।

কিন্তু প্রতিবাদমুখর জনতার চাপের মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি এবং সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু সামরিকজান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। এই হচ্ছে ইতিহাস। এই ইতিহাসে শহিদ মতিউরের অবদান অবিস্মরণীয়।

মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন- আজকে আমার ভালো লেগেছে শহিদ মতিউরের নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার এই আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রেখেছে। আমি শিক্ষার্থীদের শহিদ মতিউরের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাই।

আলোচনা সভার পূর্বে শহিদ মতিউর স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন নেতারা। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা, নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

দিবসের শুরুতে নবকুমার ইনস্টিটিউশন ও ড. শহীদুল্লাহ কলেজ কর্তৃক শহীদদের স্মরণে কোরআন খানি, মোনাজাত এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।