পহেলা বৈশাখ থেকে অনলাইনে শতভাগ ভূমি কর
জানালেন ভূমিমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আমাদের ভূমি কর এখন অনলাইন করা হয়েছে। তবে বর্তমানে এটা ম্যানুয়ালিও আছে। আমি বলেছি আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতি পুরোপুরি বন্ধ করে দেব। শতভাগ অনলাইন করা হবে ভূমি কর। এটা খুবই স্পষ্ট। ম্যানুয়ালের আর কোনো সুযোগ থাকবে না। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকটি কার্যকরী ছিল। মাঠে আমরা কীভাবে কাজ করব সে ব্যাপারে অনেক আলোচনা হয়েছে। অনেক আইন সংস্কারের বিষয় উঠে এসেছে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে চলমান মামলা নিষ্পত্তিকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, আইন সংশোধন করা হচ্ছে। আমরা অনেকগুলো আইন হাতে নিয়েছি। বিধিমালাও সংশোধন করা হবে। এই সংসদে হাট-বাজার আইন পাস হয়ে যাবে। ভূমি ব্যবহার আইন, ভূমি প্রতিরোধ আইন এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত এগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। এ সংসদ অধিবেশনই আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হয়নি, পরবর্তী সংসদ অধিবেশনই উত্থাপন করা হবে। ভূমি সংক্রান্ত কাজের বড় অংশ নিয়ে কাজ করে ডাক বিভাগ। ডিসি সম্মেলনে তাদের কোনো নির্দেশনা আছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডাক বিভাগের সঙ্গে আমাদের পর্চা নিয়ে একটা চুক্তি হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি, তারা যেন লোকাল যারা পর্চা চায় তাদের ই-মেইল করে বা ডাকযোগে পাঠাতে। সার্ভিস সেন্টারে ফোন করেও এখন সেটা পাওয়া যাচ্ছে। এবারের ডিসি সম্মেলনে খাস জমি কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণের ব্যাপারে প্রস্তাবনা এসেছে। এ জন্য ডিসিরা বাজেটও চেয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাজেটটা তাদের দেয়া হয় কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবে সচিব সেটা দেখে বুঝে সাপোর্ট দেন। আমাদের কি পরিমাণ খাস জমি তা ল্যান্ড ডেটায় আপডেট হচ্ছে। ল্যান্ড ডেটা ব্যাংকে জমা হচ্ছে। ভূমি সংশোধন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন এসিল্যান্ড বা এডিসিরা। এমনকি খাস জমি উদ্ধার করতেও বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। আবার ব্যক্তিগত জমিও খাসের তালিকায় গেছে। এসব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এসব নিয়ে কাজ করছি। এসিল্যান্ডরা এখানে আসেন একটা সময়ের জন্য। শুরুতে যারা এসিল্যান্ড হিসেবে আসেন তাদের বুঝতে একটু সময় লাগে। তাদের বোঝার জন্য আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। করোনার কারণে সেটা পিছিয়েছে। করোনার কারণে অনেক কিছুই গুটিয়ে নিতে হয়েছিল। আমরা সেটা আবার শুরু করেছি। যারা চৌকশ এসিল্যান্ড তাদের বুঝতে কোনো সমস্যা হয় না।