স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে স্মার্ট জেলা গড়ে তুলতে শুরু হয়েছে স্মার্ট ডিস্ট্রিক্ট ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা। ঢাকায় আয়োজিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে তৃতীয় দিনে গত বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেন। বিজয়ী এক বা একাধিক জেলা প্রশাসক স্মার্ট জেলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ১ কোটি টাকা সিড ফান্ড পাবেন। প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র জেলা প্রশাসকরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে স্মার্ট জেলা গঠনে নাগরিকরা সম্পৃক্ত হতে চাইলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে পারবেন।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বিগ ডাটা এনালাইটিক্সসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং, সেবা খাত, প্রশাসন, ইউটিলিটিসহ নাগরিকবান্ধব সেবা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে উদ্ভাবনী আইডিয়া জমাদানের প্রস্তাব করা হয়। জনবান্ধব ও উন্নত সেবার মাধ্যমে জেলার আধুনিকীকরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলা তৈরিতে জেলা প্রশাসকরা নিজেদের উদ্ভাবনী আইডিয়া এটুআইয়ের চ্যালেঞ্জ ফান্ড ওয়েবসাইটে (challenge.gov.bd) জমা দিতে পারবেন। আইডিয়া জমা দেয়ার শেষ সময় আগামী ২৫ এপ্রিল। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ সময় বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়ন না করলে করোনাকালীন সময় আমরা দৈনন্দিন জীবনে শিক্ষা-বাণিজ্য-বিচার ব্যবস্থা চলমান রাখতে পারতাম না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক এবং উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এটি বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট জেলা প্রতিষ্ঠায় পরিকল্পনা গ্রহণের অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বল্প ও দীর্ঘ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। যার মূল স্তম্ভ চারটি- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি। সব পেশার কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নাগরিকদের বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী মানসিকতা তৈরি করে স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্যাশলেস, ট্রান্সপারেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেবল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এতে দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন করে একটি স্মার্ট ইকোনমি তৈরি করা সম্ভব হবে। সরকারের সব কার্যক্রমে পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি স্মার্ট গভর্নমেন্ট তৈরি করতে হবে। স্মার্ট এগ্রিকালচার, স্মার্ট হেলথ কেয়ারসহ সব কার্যক্রম নিয়ে আমরা একটি স্মার্ট সোসাইটি গঠন করব। জেলা প্রশাসকদের নেতৃত্বে গঠিত আইসিটি কমিটির সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের সংযুক্ত করে ডিজিটাল সেবার মানোন্নয়নে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম পিএএ এবং সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।