ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

শেষ শুক্রবার মেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়

শেষ শুক্রবার মেলায় ছিল উপচেপড়া ভিড়

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের সাপ্তাহিক ছুটির শেষ শুক্রবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীসহ মেলার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থী ও ক্রেতার ভীড়ও বেড়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে মেলায় দর্শনার্থী থেকে ক্রেতার উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। প্রতিটি স্টলে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। মেলা শুরুর প্রথমদিকে শৈত্যপ্রবাহ, এশিয়া হাইওয়ে ও কাঞ্চন কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কে সৃষ্ট যানজট, টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার কারণে চাহিদা অনুযায়ী লোকসমাগম ও বেচাকেনা না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছিল ব্যবসায়ীরা। তবে শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বেড়েছে তুলনামূকভাবে বেশি বেচাকেনা বাড়ায় লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন ভেবে অনেক খুশি মেলার দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্টলে শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর ওপর ছাড় দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। মেলায় পুরুষের চেয়ে নারী দর্শনার্থী ও ক্রেতার আগমন সবচেয়ে বেশি। ক্রোকারিজ, স্যুট, পাটজাত পণ্য, বিদেশি শাল, চাদর, প্লাস্টিক সামগ্রীর স্টলগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা অনেকটা বেশি। বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে মেলার স্টল মালিক ও ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার বেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে লোকজন আসতে দেখা গেছে।

মিনিস্টার হাই-টেকের বিক্রয় প্রতিনিধি তৈবুর রহমান বলেন, এবার মেলায় প্রথমদিকে তেমন বেচাকেনায় সাড়া না পেলেও শেষ মুহূর্তে আশানুরূপ বেচাকেনা করতে পেরে অনেক খুশি। এদিকে, মেলায় যে পরিমাণ লোকসমাগমের আশা করেছিল সে অনুযায়ী লোকসমাগম হয়নি বলে দাবি করেছেন গেট ইজারাদাররা। এবারের মেলায় গত বছরের তুলনায় স্টল বরাদ্দ ও প্রবেশ টিকিট, অডিও ভিজুয়াল, শিশুপার্ক, গেট ব্রান্ডিং ইজারা নিতে বেশি অর্থ গুনতে হয়েছে তাদের। মেলা শুরু থেকে আজকে বিকাল পর্যন্ত মেলায় প্রায় ৯ লাখ দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে গেট ইজারাদার প্রতিষ্ঠান আব্দুল্যাহ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আবু সুফিয়ান। লোকসান কাটিয়ে উঠতে মেলার সময় ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়ে গত বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর পৃথক দুটি লিখিত আবেদন করেছিল ব্যবসায়ী ও ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। তারা বৃহস্পতিবার বিকালে মেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তারা। তবে বাণিজ্য মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ ইপিবির সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, মেলায় যে পরিমাণ দর্শনার্থীর আশা করেছি, সে পরিমাণ দর্শনার্থী মেলায় আসছে। আগের চেয়ে বেড়েছে বেচাকেনা। তিনি আরো জানান, মেলার সময় বাড়ানোর জন্য লিখিত আবেদন পেয়েছি তবে মেলার সময় বাড়ানোর কোনো সময় নেই। আমরা ৩১ তারিখ বিকালে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। এবারের বাণিজ্য মেলায় পাকিস্তান, ভারত, চীন, জাপান, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ১০টি দেশের ১৭টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়নসহ ৩৩১টি স্টল রয়েছে। মেলায় আসা দর্শনার্থীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। তাছাড়া রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণে আসার জন্য প্রতিদিন ৭০টি বিআরটিসি শাটল বাস ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ১২০টি শাটলবাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ ইপিবি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত