গাড়ি চলবে বিদ্যুতে

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

বর্তমান সময়ে সবাই ভুগছে জ্বালানির সমস্যায়। সারা পৃথিবী খুঁজছে ভিন্ন উপায়। তবে সাধ্যের মধ্যে স্মার্ট জীবনযাপন করতে চায় সবাই। আর স্মার্ট জীবনযাপনের একটি উপকরণ হলো গাড়ি। জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশ দূষণ না করতে চাইলে গাড়ি চালাতে হবে বিদ্যুতের মাধ্যমে। এবার বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে এমন গাড়ি, যার কারিগর মোস্তফা। বাংলাদেশে মোস্তফার প্রতিষ্ঠান পালকি মটরস কাজ করছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে।

মোস্তফা জানান, বৈদ্যুতিক গাড়িতে থাকছে যথারীতি চারটি দরজা ও চারটি চাকা। এছাড়াও থাকছে ৬০ ভোল্টের ১০০ এইচ লিড ব্যাটারি। যাতে একবার চার্জ দিলে চলবে ১৫০ কিলোমিটার। আর ব্যাটারির অ্যারে চার্জ হতে সময় নিবে প্রায় ৬-৮ ঘণ্টা। লিড এসিড ব্যাটারি ৩৬০০০ এর বেশি কিলোমিটার পরিসেবা দিতে সক্ষম। জ্বালানি তেলের সংকট মোকাবিলায় পেট্রোল, অকটেন, ডিজেলের বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎ দিয়ে এই গাড়ি চালানো সম্ভব। প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথমবার সরবরাহ করা হবে এই গাড়ি। আর প্রি-অর্ডারের পর একজন ক্রেতাকে অপেক্ষা করতে হবে ৫০-৬০ দিন। অর্থাৎ প্রায় ২ মাস। আর মোট মূল্যের ১০ শতাংশ অগ্রিম প্রদান করতে হবে।

বিদ্যুৎ দিয়ে গাড়ি চালানোর ইতিহাস নতুন নয়। সাধারণ জ্বালানির বিকল্প হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। বিশ্বের বিদ্যুৎচালিত গাড়ির অর্ধেকই বিক্রি হয় চীনে। মোস্তফার এই বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে খরচ পড়বে প্রায় ৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিক হতে এরইমধ্যে ৭০০-রও বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

নব্বইয়ের দশকে বা ২০০০ সালের পর ইন্টারনেট যে অবস্থায় ছিল বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার এখনো সেই অবস্থানে আছে। তবে এই খাতে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। লেখাপড়া শেষ করে দেশের বাইরেই নিজের জীবন গুছিয়ে নিতে পারতেন মোস্তফা। কিন্তু তিনি তা না করে দেশে এসে কিছু করার সিদ্ধান্তেই অবিচল ছিলেন। পৃথিবীর আর সবার মতো দেশের মানুষও যখন জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে কষ্টে জীবনযাপন করছেন, তাদের স্বাচ্ছন্দ্য দিতেই তার এই প্রচেষ্টা। মোস্তফা জানান, তিনি এখন সরকারি অনুদানের জন্য অপেক্ষা করছেন। সাহায্য পেলে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে পারবেন তিনি।