সংবিধানের আলোকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা
বললেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
সংবিধানের বিধি-বিধানের আলোকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখা আয়োজিত ‘মুক্তির মন্ত্রে বঙ্গবন্ধু : সংবিধান এবং আইনের শাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন ধ্বংস করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে সম্মিলিত যে চেষ্টা হয়েছিল, সে চেষ্টার বিপরীতে প্রত্যয়দীপ্ত সাহসী ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম, খুনিদের পুনর্বাসন, গণতন্ত্র ধ্বংস করা, আইনের শাসন ধ্বংস করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কিত করা- এসব কাজ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং পরবর্তীতে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে করেছেন। তারা স্বাধীনতার মূলমন্ত্রের বিরোধীদের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে, আইনের শাসন ধ্বংস করে বাংলাদেশকে জঘন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যারা এসেছে, সবাই আইনের শাসনের পরিপন্থী কাজ করেছে। শেখ হাসিনা ফিরে এসে যুদ্ধাপরাধের বিচার, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারসহ বড় বড় অপরাধের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রধান অতিথি আরও বলেন, আইনের শাসনের কথা বলতে গেলে সাংবিধানিক বিধি-বিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। আইনের শাসনে বিশ্বাসী জাতির পিতা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধান দিয়েছেন। পরবর্তীতে সেটাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখার সভাপতি আফরেদী হাসান সেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল এবং বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ শাহনেওয়াজ টিপু। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।