ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমরা একসময় নিজেদের ভিক্ষুক মনে করতাম

মন্তব্য আইনমন্ত্রীর
আমরা একসময় নিজেদের ভিক্ষুক মনে করতাম

আমরা এক সময় নিজেদের ভিক্ষুক মনে করতাম বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। গতকাল দুপুরে রাজধানী আগারগাঁও বিআইসিসিতে ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিডি ই-গভ সিআইআরটির প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ।

আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের কোনো লক্ষ্য ছিল না। কোথায় যাব সে সম্পর্কে আমরা জানতামও না। কোনো প্ল্যানিং ছিল না। আমরা নিজেদের মনে করতাম ভিক্ষুক’।

তিনি বলেন, ‘একটা সময় আমাদের সরকার বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত দুর্ভাবনায় থাকত। আমাদের যে আগামী বছরের বাজেট হবে, সেজন্য কোন দেশ কত টাকা ভিক্ষা দেবে, এ ভিক্ষা আনার পরে, ঠিক করতাম ভিক্ষা কীভাবে খরচ করব’।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যখন সেবামূলক সরকার গঠন করলেন। তিনি একটি নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। তিনি লক্ষ্য সেট করেছেন ২০২১, ২০৩১, ২০৪১ সাল পর্যন্ত। এ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ডিজিটাইজেশন।

ডিজিটাইজেশনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটালাইজেশন যখন শুরু হলো তখন সরকার চেষ্টা করল দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা। তখন এর পাশাপাশি ভাবলেন ডিজিটাল আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল আইন কেন করা হয়েছিল আমরা সেই কথাগুলো বলি না। আমরা শুধু বলি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য করা হয়েছে। বলা হয়, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য করা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রয়োজনীয় নয় কি? আইন হলে এটার কিন্তু অপব্যবহার হয়, এটাও স্বাভাবিক। ১৮৬০ সালে পেনাল কোড হয়েছিল। ওইখানে ৩৭৯ ধারা আছে। যেটাকে বলা হয় চুরির ধারা। চুরি করলে তিন বছরের জেল। ১৮৬০ সালে জেল দেয়া হয়েছিল। আমরা কি চুরি বন্ধ করতে পেরেছি? তাই বলে কি অপরাধ বন্ধ করার জন্য সরকার সচেষ্ট হবে না?

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন ও পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল হোসেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত