সুসংবাদ প্রতিদিন
আলুর বাম্পার ফলনে চাষির মুখে হাসি
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
আলু উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা রংপুরকে বলা হয়। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর গাছ তেমন বড় ধরনের রোগের কবলে পড়েনি। এরইমধ্যে জেলার অনেক স্থানে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ভালো ফলনের সঙ্গে দাম বেশি পাওয়ায় তাই খুশি চাষিরা।
রংপুর কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৩ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১২ হাজার হেক্টরে রয়েছে আগাম জাতের আলু। সব মিলিয়ে এ জেলার জমি থেকে প্রায় ১৫ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার পীরগাছা উপজেলার পাওটানা ও কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া, তালুক শাহাবাজসহ তিস্তার চরবেষ্টিত কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেত থেকে আগাম আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষানিরা।
কাউনিয়া উপজেলার তালুক শাহাবাজ চরবেষ্টিত এলাকার কৃষক রমজান জানান, সার ও সেচে গতবারের তুলনায় খরচ বেশি হলেও এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় আলুর পচারি (ব্লাইড) রোগ দমনে খরচ তেমন হয়নি। জমিতে ২৫-৩০ জন আলু তুলছেন। গতবারের চেয়ে ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এবার জমিতে থাকা অবস্থায় আলু বিক্রি হচ্ছে ১৭ টাকা কেজি দরে। একরে খরচ বাদ দিয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ থাকার কথা রয়েছে।
পাওটানা গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল ৪০ শতাংশ জমিতে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনিও বলেন, গতবারের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। গতবারের এই সময়ের চেয়ে এবার কেজিতে ৩-৪ টাকা বেশি দাম পাওয়া যাচ্ছে। আমরা লাভের মুখ দেখছি। পীরগাছা উপজেলার পারুল গ্রামের আলু ব্যবসায়ী জিল্লাল জানান, এবার আলুর দাম এখন পর্যন্ত ভালো আছে। এই বাজার থাকলে কৃষক লাভবান হবেন। তবে সবেমাত্র আলু উঠতে শুরু করেছে। পুরোদমে আলু উঠতে আরও এক মাস সময় লাগবে। সেই সময় পর্যন্ত দাম ভালো নাও থাকতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান তিনি।
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীমুর রহমান জানান, আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ মেট্রিক টন। আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে।
ফলনের বিষয়ে তিনি আরও জানান, এবার আবহাওয়া এখন পর্যন্ত আলু আবাদের জন্য অনুকূলে রয়েছে। এই আবহাওয়ার ধারাবাহিকতা থাকলে আশা করা যায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রতি হেক্টরে ৩ থেকে ৪ মেট্রিক টন আলু বেশি উৎপাদন হবে।