যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের আস্থা বেড়েছে

মন্তব্য মির্জা ফখরুলের

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলনে জনগণের আস্থা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রোববার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ‘১২ দলীয় জোটের’ লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে অবশ্যই মানুষের মধ্যে একটা আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এই দাবির (১০ দফা দাবি) সঙ্গে একমত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্যে তারা লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন। এটা (যুগপৎ আন্দোলন) নিঃসন্দেহে অনেক বড় মাত্রা যুক্ত করেছে এবং জনগণকে আশ্বস্ত করেছে। এসময় ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমরা আগামী দিনে আন্দোলনকে কিভাবে আরো গতিশীল করা যায়, তা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কথা বলেছি এবং একটি স্থির সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হয়েছি। সরকারবিরোধী সব শক্তি আজ মনে মনে, অন্তরে অন্তরে সংকল্পবদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি জোটের পক্ষ থেকে যে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেদিন আমরা আরো বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করতে চাই। সেই কর্মসূচি সার্থক করা, বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। লিয়াজোঁ কমিটির এই বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এলডিপির আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করিম, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের তফাজ্জ্বল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন। পথযাত্রা কর্মসূচিকে বিএনপির মরণযাত্রা-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এরকম বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, উনি (ওবায়দুল কাদের) বুঝা যায় কিশোর কুমারের একটা গান আছে না, ওইটা উনার মনে পড়ছে আরকি। উনি নিজের চিন্তা করছেন কিনা আমি জানি না। আমাদের পথযাত্রার মধ্যদিয়ে একটা নতুন মাত্রা সৃষ্টি হলো এবং জনগণের মধ্যে একটা আকাঙ্খা গণতন্ত্রকে ফিরে পাওয়ার জন্য রাজপথে নেমে আসার একটা নতুনমাত্রা যুক্ত হয়েছে।

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় একটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পলিটিক্যাল পার্টি। তারা মুখে বলে একটা কাজ করে আরেকটা। সরকার আমাদের প্রোগ্রামের সময় তিন দিন আগে থেকে পরিবহণ ধর্মঘট করিয়ে দেয়, তারা তিন আগে থেকে পুলিশকে নামিয়ে দিয়ে রাস্তার মধ্যে বসিয়ে মোবাইল টেলিফোন পর্যন্ত চেক করতে থাকে। এটা আওয়ামী লীগের কৌশল যে, তারা বিরোধী দলকে যেকোনো মূল্যে হোক বাধা প্রদান করবে, তাদেরকে তারা কোনোভাবে কর্মসূচি করতে দেবে না। অন্যদিকে ভিন্নমত সহ্য করবে না। আর তারা (সরকারি দল) তাদেরটাকে বলতেই থাকবে, করতেই থাকবে এবং সেই ক্ষেত্রে তারা রাষ্ট্রের সব যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করবে।