সিরাজগঞ্জে দুর্গম চরাঞ্চলে চলাচল করছে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি

পরিবহণ হচ্ছে যাত্রী ও পণ্য

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে দুর্গম চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি। এতে যাত্রীসহ মালামাল সরবরাহ করছে চরাঞ্চলবাসী। তবে এ মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি চলে পুরোদমে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। ধু ধু এ বালুর চর পাড়ি দিতে চরবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে চরাঞ্চলের অনেক স্থানে দীর্ঘদিন ধরে ঘোড়ার গাড়িতে যাত্রীসহ মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে এ ঘোড়ার গাড়ি চলাচল করছে। বিশেষ করে কাজিপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ ঘোড়ার গাড়ি বেশি চলাচল করছে। এসব চরাঞ্চলে এলাকাভিত্তিক কোনো সড়ক নেই। এ কারণে তারা সুবিধাজনক সড়ক বেছে নিয়ে থাকে এবং এসব সড়কে তারা হেঁটে যাতায়াত করে থাকে। এমনকি দুর্গম সড়কে মোটরসাইকেলেও যাত্রী পরিবহণ করা হয়। তবে ভাড়া বেশি হওয়ায় মোটরসাইকেলে চলাচলকারী যাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অবশেষে যাত্রী সাধারণ ঘোড়ার গাড়ি বেছে নিয়েছে। যাত্রী ও পণ্য বহনে ঘোড়ার গাড়ি এখন অন্যতম। তবে বিশিষ্টজনরা বলছেন, জেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা-পাকা সড়ক নির্মাণ হয়েছে। চরবাসীর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎও দেয়া হয়েছে। বন্যা ও প্রবল বৃষ্টিতে অনেক রাস্তাঘাট ধসে যায়। এ কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকে। তবে যমুনার পানি কমে যাওয়ার পর থেকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। এজন্য চরবাসীর যোগাযোগ ক্ষেত্রে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। বিশেষ করে নৌকাযোগে আসা মালামাল অথবা ফসলি জমি থেকে কৃষিপণ্য পরিবহণে এখনো একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি। কাওয়াকোলা চরের ঘোড়ার গাড়ির চালক আব্দুর রহিমসহ অনেকেই বলেন, আমরা ওপার চরাঞ্চলের মানুষ। মাঠের কাজের ফাঁকে আমল থেকে এই চরাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়ি চালাই। জমির ফসল আনা নেয়া ও বিক্রিসহ যাত্রী পারাপারে এ ঘোড়ার গাড়ি চালাই। এ বিষয়ে কাওকোলা ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সী আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলের মাঝখানে এই ইউনিয়ন পরিষদ। এরইমধ্যে চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাকা রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে যাত্রী চলাচল ও পণ্য বহনে যানবাহন ঘোড়ার গাড়ি। তবে চরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।