ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপনির্বাচন

‘নিখোঁজ’ প্রার্থীকে উদ্ধারের নির্দেশ ইসির

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচনের ‘নিখোঁজ’ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদকে উদ্ধারের জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন প্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য তদন্ত করতে বলেছি, আসলে ঘটনাটা কী হয়েছে। ঘটনার সত্যতা কতটুকু- এটা জানার জন্যই তদন্ত করতে ডিসি, এসপি ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

আগামীকাল অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের উপনির্বাচনে লড়তে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তাদের মধ্যে চারজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বাকি চারজন হলেন সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাষানী, জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র আবু আসিফ আহমেদ।

এই উপনির্বাচন ঘিরে সর্বত্র আলোচনা আব্দুস সাত্তারকে নিয়ে। তিনি এ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে বিজয়ী হয়েছিলেন। সম্প্রতি দলের সিদ্ধান্তে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।

পরবর্তীতে নিজের ছেড়ে দেয়া আসনের উপনির্বাচনে লড়তে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কেনার পর বিএনপি তাকে বহিষ্কার করে।

চার প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোর ফলে সাত্তারের জয়ের পথ অনেকটাই সুগম হয়ে গেছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারাও প্রকাশ্যে সাত্তারের পক্ষে কাজ করছেন বলে গণমাধ্যমে খবর আসছে। এর মধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের ‘খোঁজ মিলছে না’ বলে খবর আসে গত রোববার। আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ভোটে দাঁড়ানোয় তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার স্ত্রী মেহেরুন্নিছা গত রোববার সাংবাদিকদের জানান, গত ২৭ জানুয়ারি রাত থেকে আসিফ ‘নিখোঁজ’, তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। তবে আসিফের পরিবার বিষয়টি প্রশাসন কিংবা পুলিশকে জানায়নি এবং কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নেয়নি।