বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জানুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৩০ কোটি ৬৩ লাখ ৪ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ২৬৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ১৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৮ কেজি ৮৩২ গ্রাম হেরোইন, ১৪ হাজার ৬১৭ বোতল ফেনসিডিল, ২২ হাজার ৭২৮ বোতল বিদেশি মদ, ৫ হাজার ২২৯ ক্যান বিয়ার, ১৩৩ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৫০১ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৪১ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ১৯ হাজার ২৮৯টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ১০ হাজার ৯৪৭টি ইস্কাফ সিরাপ, ৯০৫ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩৪ পিস বিভিন্ন ওষুধ, ৩৫ হাজার ৩৩০টি এ্যানেগ্রা, সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট। জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৩১ কেজি ৬২৮ গ্রাম স্বর্ণ, ৬ কেজি ৬১ গ্রাম রুপা, ১ লাখ ৬২ হাজার ১০৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২২ হাজার ৫১০টি ইমিটেশন গহনা, ১০ হাজার ৭৮৯টি শাড়ি, ৫ হাজার ৭৬৩টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর, কম্বল, ২ হাজার ৭১২টি তৈরি পোশাক, ৩ হাজার ৩৮৬ ঘনফুট কাঠ, ৩ হাজার ৯৪২ কেজি চা পাতা, ৮৬ হাজার ৭১৪ কেজি কয়লা, ২টি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৪৭ কেজি কচ্ছপের শুঁটকি, ১ হাজার ৯৫০ কেজি কারেন্ট জাল, ১ হাজার ৭৪ কেজি কীটনাশক, ৭টি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ১৩টি পিকআপ, ৭টি প্রাইভেটকার, ২০টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ৭৯টি মোটরসাইকেল। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ২২টি বিভিন্ন প্রকার গান, ২টি ম্যাগাজিন, ১টি মর্টার শেল, ১টি ৬০ মিমি. মর্টারের গোলা এবং ১৩০ রাউন্ড গুলি। এছাড়াও সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৮ জন চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৫২ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৭ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।