জানুয়ারিতে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি ২৭.৩
৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
পাকিস্তানে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বেড়েই চলছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। আর এরমধ্যে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ২৭ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছায়। যা গত ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ভোক্তা মূল্য সূচকের মাধ্যমে ভোক্তাদের ব্যয় এবং সেবার ওপর নির্ভর করে মাস থেকে আরেক মাসের মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করা হয়। পরিসংখ্যান ব্যুরো আরও জানিয়েছে, শহুরে এলাকায় গত এক বছরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
আর গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া মূল মূল্যস্ফীতি, যেটিতে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যটি অন্তর্ভুক্ত নয়, সেটিও শহুরে এলাকায় ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানে এর আগে মূল্যস্ফীতি এত বেশি ছিল ১৯৭৫ সালে। সে বছর মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ। রুপির দরপতন, ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়া এবং কর বৃদ্ধির পরই বোঝা গিয়েছিল মূল্যস্ফীতি বাড়বে।
পাকিস্তানে ইতোমধ্যে আকাশ ছুঁয়েছে পেঁয়াজ, মুরগি, চালের আটা, আটা, কলাই, মুগ ডাল, ছোলা ডাল, বেসন, সরিষা তেল, তাজা ফল, রান্নার তেল, খাঁটি দুধ, ঘি, টমেটো, মাছ, মশুর ডাল, মাংস, তাজা সবজি, আলু ও চিনির দাম।
এ মূল্যস্ফীতি চলতি মাসে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে পেট্রল এবং ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতির শঙ্কা আরও বাড়িয়েছে। এছাড়া বর্তমানে পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে। যদি আইএমএফ এ ঋণ দিতে সম্মত হয় তাহলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। সূত্র : দ্য ডন অনলাইন