রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার ৮ম জাতীয় সম্মেলন আজ

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার ৮ম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা আদর্শ নাগরিক তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। তিনি সকল শিশু-কিশোরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিয়ে সোনার মানুষ সৃষ্টি করতে পারলে এই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিকূল রাজনীতির স্রোত ঠেলে এগিয়ে চলেছেন দুর্বার গতিতে। তার লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য পূরণে সবাইকে দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু-কিশোরদের প্রতি সব ধরনের সহিংস আচরণ, বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সকল শিশু-কিশোরের সমঅধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি পিতাণ্ডমাতা, পরিবার ও সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। শিশু-কিশোরদের প্রতি সব ধরনের সহিংস আচরণ, বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধ করার জন্য আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। শিশুদের প্রতি ছিল তার অপরিসীম মমতা। তিনি শিশুদের কল্যাণে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ বিধান সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি শিশু আইন প্রণয়ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের জন্য নিরাপত্তা, খাদ্য ও পুষ্টি, আশ্রয় ও সুরক্ষা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক সম্পর্কিত নানাবিধ কর্মসূচিসহ শিশুশ্রম বন্ধ করার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় টেকসই উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করা, তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলার লক্ষ্যে শিল্প, সাহিত্য এবং খেলাধুলার বিভিন্ন শাখায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।