মুজিবের বাংলাদেশ বিমান হাফ ম্যারাথন ২০২৩ অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উদ্যোগে গতকাল রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় জাকজমকপূর্ণ ‘মুজিবের বাংলাদেশ-বিমান হাফ ম্যারাথন ২০২৩’ (Mujib’s
Bangladesh Biman Half
Marathon 2023) প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২১.১ কিলোমিটার ও ৭.৫ কিলোমিটারের দুটি ইভেন্টে দেশি-বিদেশি প্রায় ২ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। হাতিরঝিল পুলিশ প্লাজা থেকে ভোর ৬টায় এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ম্যারাথন শেষে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম। রেস ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিমানের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ।প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিমান যাবে এবং বিশ্বের উন্নত এয়ারপোর্টগুলোতেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে আমরা টরন্টো ফ্লাইট চালু করেছি। নারিতায় আমরা ফ্লাইট চালু করব। বিমানের যাত্রীসেবা উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। এসময় তিনি বিমান কর্তৃক হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানান।
বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে পরিচিত করার জন্য সর্বপ্রথম জাতির পিতা যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন তার একটি হলো বিমান। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে ব্র্যান্ডিং করছে বিমান। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিমানের কলেবর আরও বৃদ্ধি পাবে। বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫১ বছর পূর্ণ করেছে। দীর্ঘ এ পথচলায় পাশে থাকার জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া, বিমানের হাফ ম্যারাথন আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। পরে ২১.১ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় তিনজন নারী, তিনজন পুরুষ ও তিনজন ভেটেরানকে পুরস্কার দেয়া হয়। এ বিভাগে প্রথম পুরস্কার ছিল ৭০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার ছিল যথাক্রমে ৫০ ও ৩০ হাজার টাকা। ৭.৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষকে পুরস্কার দেয়া হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের অর্থমূল্য ছিল যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা।